Cyclone Alert: মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টির মাঝেই এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড়, সতর্কতা জারি IMD-র

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ চলতি বছর আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আগেই জানানো হয়েছিল দেশের অধিকাংশ জায়গাতেই এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টির দেখা মিলবে। আবার কোন কোন অংশে বৃষ্টির পরিমাণ থাকবে সাধারণের থেকে অনেকটাই বেশি। আবহাওয়ার সেই পূর্বাভাসকে সত্যি করেই দেশের বিভিন্ন অংশে এখন অতিবৃষ্টির কারণে তৈরি হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। আর এরই মধ্যে এবার ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা (Cyclone Alert) জারি করল আইএমডি (IMD)।

Advertisements

দেশের অধিকাংশ জায়গায় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু সক্রিয় থাকার কারণে হামেশাই বৃষ্টির মুখোমুখি হচ্ছে বিভিন্ন অংশ। এদিকে অতি বৃষ্টিতে বন্যায় ভাসছে গুজরাট। এখন স্বাভাবিক বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতেও। একইভাবে বৃষ্টির মুখোমুখি ওড়িশা, বিহার, দিল্লি, মহারাষ্ট্র থেকে অধিকাংশ জায়গায়। বৃষ্টিতে বহু জায়গায় এখন দুর্যোগ চলছে আর এই সকল দুর্যোগের মাঝেই এবার ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা।

Advertisements

সাধারণত এখন ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় না বলেই জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে। তবে এমন সময় ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ায় তা আবহাওয়ার বিরল ঘটনা বলেই বর্ণনা করছেন আবহাওয়ার অফিসের অধিকর্তারা। তবে এমন বিরল ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে তা কোন কোন এলাকার ওপর প্রভাব ফেলবে তা আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisements

আইএমডির তরফ থেকে যে ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে সেই ঘূর্ণিঝড়টি আরব সাগরে সক্রিয় হতে চলেছে। এই ঘূর্ণিঝড় আসনা নামে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। ঘূর্ণিঝড়টি শুক্রবার কচ্ছ-পাকিস্তান উপকূলে আঘাত হানতে পারে। যেহেতু এই ঘূর্ণিঝড় আরব সাগরে তৈরি হয়েছে এবং তা কচ্ছপ ও পাকিস্তান উপকূলবর্তী এলাকায় আঘাত হানতে পারে তাই পশ্চিমবঙ্গ অথবা পূর্ব ভারত বা সংলগ্ন কোন এলাকার বাসিন্দাদের চিন্তার কারণ নেই।

আরও পড়ুন : Bangladesh Financial Condition: অন্তর্বর্তী সরকারে কঠিন পরিস্থিতি, টাকার অভাব কাটাতে ধার চাইছে বাংলাদেশ

এখনো পর্যন্ত এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে যা জানা গিয়েছে তাতে এর প্রভাব পড়বে কচ্ছের পাশাপাশি সৌরাষ্ট্র এলাকায়। এমন পরিস্থিতিতে যখন গুজরাটে বন্যা পরিস্থিতি চলছে সেই সময় এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আর এমন ব্যাপক বৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কে রাজ্যের বাসিন্দাদের পাশাপাশি প্রশাসন।

তবে আরব সাগরে যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছে সেই ঘূর্ণিঝড় খুব বেশি শক্তিশালী নয় বলেই জানা যাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তাদের তরফ থেকে। ঘূর্ণিঝড়টি স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে শক্তি অনেকটাই হারাবে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। গুজরাটের বেশকিছু অংশে এর প্রভাব পড়বে বলেও হাওয়া অফিসের তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

Advertisements