কলকাতা: চাষিরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে মাঠে শস্য ফলিয়ে থাকেন আর তাদের এমন কষ্টের ফল হিসাবে আমাদের মুখে অন্ন জোটে। তবে বিভিন্ন সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঠের সেই সকল ফসল নষ্ট হয়ে যায়। ফসল নষ্ট হলে কষ্ট করে ফলানো ফসলের দাম তো পাওয়া দূরের কথা, পাশাপাশি বিপুল টাকার ক্ষতির মুখোমুখি হতে হয় চাষীদের। তবে এমন পরিস্থিতি থেকে চাষীদের রক্ষা করতে রাজ্য সরকার চালু করেছে বাংলা শস্য বীমা (Bangla Shasya Bima)।
২০১৯ সালে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে চালু করা এমন একটি প্রকল্পের হাত ধরে এখনো পর্যন্ত ফসলের ক্ষতির ক্ষতিপূরণ হিসাবে ২২৮৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিপুল অংকের এই টাকা বরাদ্দ করার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের অন্ততপক্ষে ৮৫ লক্ষ চাষী উপকৃত হয়েছেন। মূলত বাংলা শস্য বীমা প্রকল্পের আওতায় যারা নাম নথিভূক্ত করেন তারা এমন ক্ষতিপূরণ পেয়ে থাকেন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড় থেকে শুরু করে অতিবৃষ্টি, কম বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, ভূমিধস, বন্যা, জল জমে ফসল নষ্ট হওয়া, ফসল ফলে যাওয়ার পর তা কেটে খামারজাত করার পরও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে বিভিন্ন সময় বিপুল পরিমাণ অর্থের ক্ষতি হয়ে থাকে চাষীদের। বাংলা শস্য-বীমা প্রকল্পে এবার সংশোধনী এনে এই সকল সমস্ত ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে ক্ষতিপূরণ নিতে হলে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে চাষীদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
আরও পড়ুন : New Bus Route: রাজ্যে চালু হলো নতুন বাস রুট, দেখে নিন স্টপেজ থেকে ভাড়ার খুঁটিনাটি
চলতি বছর খরিফ মরশুমে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ধান ও ভুট্টা চাষের জন্য বাংলা শস্য-বীমা প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করার দিনক্ষণ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ভুট্টা চাষের জন্য ১৫ সেপ্টেম্বর এবং ধান চাষের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর শেষ দিন হিসাবে ধার্য করা হয়েছে। যে সকল চাষীরা এই প্রকল্পের আওতায় নাম নথিভুক্ত করাতে চান তাদের নির্ধারিত ওই দিনের মধ্যে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।
বাংলা শস্য বীমা প্রকল্প এমন একটি প্রকল্প যেখানে নাম নথিভুক্ত করলেই নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন কৃষকরা। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করার জন্য কৃষকদের এক টাকাও খরচ করতে হয় না। প্রকল্পের প্রিমিয়ামের পুরো টাকা বহন করে থাকে রাজ্য সরকার। শুধু চাষীদের কষ্ট করে নিকটবর্তী বাংলা শস্য-বীমা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত হচ্ছে এমন সেন্টারে এসে নাম নথিভুক্ত করতে হবে।