Ratan Tata: ধনকুবেরদের তালিকার অন্যতম নাম রতন টাটা, জানেন তার উপার্জন কত? ভারতের অন্যতম বিখ্যাত ব্যবসায়ী রতন টাটা (Ratan Tata)। ব্যবসায়ী হিসেবে তার নাম জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তার ছত্রছায়ায় সুরক্ষিত রয়েছে লাখ লাখ মানুষের কর্মজীবন। তাকে দেশের সবথেকে বড় এবং ভালো ব্যবসায়ী বললেও খুব একটা ভুল হবে না। আমাদের দেশের অমূল্য রত্ন। সাধারণের কথা মাথায় রেখে নেওয়া তার একাধিক উদ্যোগ সব সময় প্রশংসার ভাগিদার হয়েছে। তিনি সমগ্র ভারতবর্ষের কাছে অত্যন্ত গর্বের। তিনি একজন মানুষ যাকে নিয়ে গর্ব করেন প্রত্যেকেই।
ব্যবসায়িক হিসেবে মুকেশ আম্বানি হয়তো তার কাছে কিছুই না। এত বড় ব্যবসায়ীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ অনেক বেশি হওয়ার কথা। কিন্তু সম্পত্তির দিক থেকে তিনি তুলনামূলক অনেকটাই পিছিয়ে। বিশ্বের সেরা ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে নাম থাকা উচিত ছিল রতন টাটার (Ratan Tata)। কিন্তু তার নাম নেই। শুধু বিশ্ব নয়, ভারতীয় ধনকুবেরদের তালিকাতেও নাম নেই রতন টাটার। তিনি ব্যবসায়িক দিক থেকে এক বিশাল সাম্রাজ্যের মালিক। অথচ ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় তার নাম নেই। এমনকি দেশের প্রথম ১০০ জন ধনী ব্যক্তির তালিকাতেও নাম নেই তার।
প্রায় ষাট বছর ধরে স্বমহিমায় ব্যবসা করে চলেছে টাটা এন্ড সন্স। রতন টাটার (Ratan Tata) তত্ত্বাবধানে চলছে এই সমস্ত কাজ। এমন কোন ক্ষেত্র বোধহয় নেই যেখানে টাটা কোম্পানির কোনরকম হস্তক্ষেপ নেই। প্রায় সব ধরনের ব্যবসার সাথেই তারা কোন না কোন ভাবে জড়িত। তাতে ইন্ডাস্ট্রিজের মোট ইকুইটির পরিমাণও নেহত কম নয়। কিন্তু সেই অর্থ ব্যক্তিগত কারণে নয়, ব্যবহৃত হয় সর্বসাধারণের উন্নতিকল্পে। প্রায় ৬০ শতাংশ ইকুইটি রয়েছে টাটা ট্রাস্টি বোর্ডের হাতে। অর্থাৎ লাভের ৬০ শতাংশ সরাসরি চলে যায় ট্রাস্টি বোর্ডের কাছে।
আরো পড়ুন: পুজোর আগেই বর্ধিত DA, কত টাকা বেশি পাবেন সরকারি কর্মচারীরা? রইল হিসেব-নিকেশ
এইরোপ্লেন থেকে শুরু করে সামান্য ইলেকট্রনিক্স বা হার্ডওয়ার প্রায় সব ধরনের ব্যবসার সাথে যুক্ত টাটা এন্ড সন্স। তবে এই সমস্ত ব্যবসার টাকা বেশিরভাগটাই সরাসরি চলে যায় টাটা ট্রাস্টের অ্যাকাউন্টে। সেখান থেকেই সমস্ত বন্টন প্রক্রিয়া চলে। কর্মীদের বেতনও এই ট্রাস্টি বোর্ডের অ্যাকাউন্ট থেকেই দেওয়া হয়। কয়েক লক্ষ মানুষের সেবায় নিয়োজিত টাটা ট্রাস্টি বোর্ড। তাদের অ্যাকাউন্টের সঞ্চিত টাকা প্রতিনিয়ত খরচ করা হয় সাধারণের উন্নতিকল্পে। শুধুমাত্র ভারতীয়দের জন্য যে টাকা খরচ হয় তা কিন্তু নয়, এ টাকা বিদেশেও পাঠানো হয়। বিভিন্ন সংস্থার কাছে সাধারণের সাহায্যে আর্থিক অনুদান দেওয়া হয় টাটা ট্রাস্টি বোর্ডের সঞ্চিত অর্থের মাধ্যমে।
এর বাইরে যেটুকু অংশ থাকে অর্থাৎ লোভ্যাংশের ৪০ শতাংশ আসে টাটা এন্ড সন্সের হাতে। এবার প্রশ্ন হল রতন টাটার (Ratan Tata) উপার্জন কত? প্রতি ঘন্টায় তিনি উপার্জন করেন ৭৮০ টাকা। অর্থাৎ তার মাসিক উপার্জন মাত্র ৫.৭ লক্ষ টাকা এই পরিমাণ অর্থ ব্যবসায়ী মহলের হয়তো কেউই উপার্জন করেন না। দেশের একেবারে ছোটখাটো ব্যবসায়ীদের মাসিক উপার্জনও রতন টাটার চেয়ে অনেক বেশি। তিনি দুস্থ মানুষের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করেছেন। মানুষের সেবাতেই তার আনন্দ, উপার্জন নয়। একথা প্রতি মুহূর্তে মনে করিয়ে দেন রতন টাটা। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য ২০১৭ সাল থেকে তিনি অবসর গ্রহণ করেছেন।