উত্তর ২৪ পরগনা: ছেলেবেলা থেকে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) পড়াশোনায় বেশ মেধাবী ছাত্র হলেও বড় হয়ে তার ব্যবহার একেবারেই ভালো ছিল না। শুধু তার নয়, এমনকি তার মায়ের ব্যবহার জঘন্য। এমনটাই এখন দাবি করছেন সন্দীপ ঘোষের প্রাক্তন প্রতিবেশীরা। শুধু দাবি নয়, পাশাপাশি এমন দাবি তোলার পরিপ্রেক্ষিতে তারা স্বচক্ষে দেখা বেশ কিছু উদাহরণ তুলে ধরেছেন।
আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল কাণ্ডের পর দুর্নীতির অভিযোগে সন্দীপ ঘোষ সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর সাধারণ মানুষদের থেকে তার সম্পর্কে অনেক গোপন কথা সামনে আসছে। সন্দীপ ঘোষ একসময় উত্তর ২৪ পরগনার বারাসাতের মল্লিক বাগানে থাকতেন। সেখানে থাকাকালীন তিনি একটি নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতেন। পাশাপাশি নিজে আলাদা করে চেম্বারও করতেন। স্বাভাবিকভাবেই এলাকায় বেশ পরিচিত মুখ ছিলেন তিনি।
সন্দীপ ঘোষের এমন পরিচিতি মুখের পরিপ্রেক্ষিতেই তার গ্রেপ্তার হওয়ার পর ওই এলাকার বাসিন্দারা তাদের ব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন। সন্দীপ ঘোষ এবং তার পরিবার এখন মল্লিক বাগান এলাকায় না থাকলেও এখনো বেশ কিছু ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে অনেকেই ভোলেননি। সেই সকল ঘটনা মনে পড়তেই প্রতিবেশীরা রীতিমতো জঘন্য ব্যবহার ছিল বলেই দাবি করছেন।
আরও পড়ুন : Sandip Ghosh: বাস্তু বিশ্বাসী সন্দীপ ঘোষের বাড়ি জুড়ে ছড়িয়ে আছে শুভ অশুভর হিসেব
সন্দীপ ঘোষের এক প্রাক্তন প্রতিবেশী জানিয়েছেন, তার সন্তান যখন ১৪ দিনের সেই সময় বাড়িতে কোন এক অশান্তির কারণে সন্দীপ ঘোষ তার স্ত্রীর পেটে লাথি মেরেছিলেন। যে ঘটনায় স্ত্রীর সেলাই ফেটে গিয়েছিল। সেই সময় তার স্ত্রী যিনি ছিলেন তিনি ছিলেন নীলরতনের চিকিৎসক। সন্দীপ ঘোষের মতোই তার মায়েরও ব্যবহার জঘন্য ছিল বলেই দাবি করেছেন ওই প্রাক্তন প্রতিবেশী। কেননা ঐ ঘটনার সময় যখন সন্দীপ ঘোষের স্ত্রীকে তারা হাসপাতালে নিয়ে যাব বলে বের করেন এবং ওই ১৪ দিনের শিশুর জামাকাপড় চাইতে যান তখন তার মা তা দেননি।
যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় সন্দীপ ঘোষ এলাকায় ডাঃ এস ঘোষ নামে পরিচিত ছিলেন। তিনি ছিলেন অর্থপেডিক সার্জেন্ট। অনেকেই ছিলেন যারা চিকিৎসার জন্যই তার চেম্বারে যেতেন এবং সেই রকমই আরও একজন দাবী করেছেন, মোটেই ভালো মানুষ নন। তিনি বহু মানুষের কাছে ডবল ডবল ফিস নিতেন। সন্দীপ ঘোষ এখন মল্লিক বাজার এলাকায় না থাকলেও তার এবং তাদের পরিবারের ওই সকল কীর্তি এখনো ভোলেননি প্রতিবেশীরা।