Tata Curvv ICE: ভারতীয় মার্কেট কাঁপাতে টাটা শীঘ্রই লঞ্চ করতে চলেছে টাটা কার্ভ আইসিই (Tata Curvv ICE)। গাড়ির দুনিয়ায় প্রিমিয়াম কার হিসেবে বরাবরই চমক এনেছে টাটা মোটরস। প্রথমবার আগস্ট মাসে এই ক্যুপ মডেলের গাড়িটি আত্মপ্রকাশ করেছিল। পাশাপাশি বাজারে উন্মাদনা সৃষ্টি করেছে গাড়িটির ইভি মডেল। সেপ্টেম্বর মাসের দু তারিখ গাড়িটির ইন্টারনাল কম্বাশন মডেলটি আনুষ্ঠানিকভাবে বাজারে পদার্পণ করতে চলেছে।
এই সেগমেন্টে বর্তমানে মার্কেটে নিজের আধিপত্য কায়েম করে রয়েছে Hyundai Creta। টাটা কার্ভ আইসিই (Tata Curvv ICE) খুব শীঘ্রই হুন্ডাইয়ের গাড়িটির জনপ্রিয়তাকে খর্ব করতে চলেছে। সংস্থার ATLAS প্ল্যাটফর্মের উপর নির্ভর করেই গাড়ির মার্কেটে আলোড়ন ফেলতে চলেছে এই নতুন গাড়িটি। অত্যাধুনিক ফিচারস যা সত্যি অবাক করে দেবে। গাড়িটিতে থাকছে এলইডি লাইট এবং এয়ার ভেন্ট, ক্যামেরা ও ফ্রন্ট সেন্সরস। আজকের প্রতিবেদনে টাটা কার্ভ আইসিই সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক।
আসুন এক নজরে দেখে নিই গাড়িটির (Tata Curvv ICE) ডিজাইন কিরকম। টাটা কার্ভ আইসিই-তে থাকছে একাধিক অত্যাধুনিক ফিচারস যেমন এলইডি ডিআরএল সহ স্প্লিট হেডল্যাম্প, সামনে ও পেছনে এলইডি লাইট বার, এলইডি হেডলাইট, ডুয়েল টোন অ্যালয় হুইল, ফ্ল্যাশ ফিটিং ডোর হ্যান্ডেল ও এলইডি টেললাইট। গাড়িটির ৫ টি কালার ভেরিয়েন্ট মার্কেটে লঞ্চ হতে চলেছে।
আরো পড়ুন: ধনকুবেরদের তালিকার অন্যতম নাম রতন টাটা, জানেন তার উপার্জন কত
গাড়িটির (Tata Curvv ICE) ইঞ্জিনের ক্ষমতা পিছনে ফেলে দেবে বহু গাড়িকে। তিন ধরনের ইঞ্জিনের বিকল্প আনা হবে টাটা কার্ভ আইসিই তে। যেমন, ১.২ লিটার টার্বো পেট্রোল (১১৮ বিএইচপি ও ১৭০ এনএম ), ১.৫ লিটার ডিজেল (১১৫ বিএইচপি ও ২৬০ এনএম), এবং নতুন ১.২ লিটার জিডিআই টার্বো পেট্রোল ইঞ্জিন (১২৫ বিএইচপি ও ২২৫ এনএম)। পাশাপাশি ট্রান্সমিশন হিসেবে থাকবে সিক্স স্পিড ম্যানুয়াল ও সেভেন স্পিড ডিসিটি। সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আমাদের দেশে এমন গাড়ি প্রথম লঞ্চ করা হচ্ছে। প্রথম ডিজেল ইঞ্জিনযুক্ত কোন গাড়ি সেভেন স্পিড ডুয়েল ক্লাচ ট্রান্সমিশন পেতে চলেছে, ক্রেতারা অপেক্ষা করে আছে এই গাড়ির জন্য।
এছাড়াও টাটার এই গাড়িটির মধ্যে আছে অত্যাধুনিক ফিচারস। যেমন ১২.৩ ইঞ্চি টাচস্ক্রিন সিস্টেম, প্যানোরামিক সানরুফ, রিয়ার এসি ভেন্টস, ফুল ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট ক্লাস্টার, ওয়্যারলেস চার্জার, পাওয়ার্ড টেলগেট, অটো-হোল্ড ফাংশন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে অ্যাডভান্স ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্স সিস্টেম বা অ্যাডাস (ADAS) এবং ভেন্টিলেটেড ফ্রন্ট সিট। গাড়িটির মূল্য প্রায় ১২ থেকে ১৮ লক্ষ টাকা।