Provident Fund: সারাজীবন চাকরি করে অবসর গ্রহণের পর সকলেই অপেক্ষা করে প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকার জন্য। এটি হলো চাকরিজীবীদের অর্থ সঞ্চয়ের অন্যতম ভরসার জায়গা। প্রভিডেন্ট ফান্ড বা পিএফ এর জন্য প্রতি মাসেই কর্মচারীদের বেতন থেকে একটি নির্দিষ্ট অঙ্ক কেটে নেওয়া হয়। এই টাকা আদৌ পিএফ ফান্ডে জমা হচ্ছে কিনা আদৌ কি খোঁজ নিয়ে দেখেছেন? বর্তমানে কিছু ঘটে যাওয়া ঘটনা আমাদের অবাক করে দিয়েছে এবং সাথে মনে ঢুকেছে আতঙ্ক। কর্মীদের বেতন থেকে পিএফের টাকা কেটে নেওয়া হলেও তা জমা পড়েনি পিএফ অ্যাকাউন্টে। চাকরি ছাড়ার পর এইসব জানতে পেরে কর্মীদের তো মাথায় হাত। আপনি কি এই ব্যাপারে সতর্ক হয়েছেন?
এমপ্লয়িজ প্রভিডেন্ট ফান্ড অর্গানাইজেশনের (EPFO) পক্ষ থেকে প্রতি মাসেই মেসেজ পাঠানো হয়। সেই মেসেজ থেকেই জানা যায় অ্যাকাউন্টে কত টাকা জমা পড়েছে এবং বর্তমান ব্যালেন্স কত। ওই মেসেজের ভিত্তিতেই আপনি কোম্পানির মানবসম্পদ বিভাগ বা এইচআর(HR)-র সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেন। যারা এখনো এইসব বিষয় নিয়ে সর্তক নন তারা অবশ্যই খতিয়ে দেখুন আপনার অ্যাকাউন্টে (Provident Fund) টাকা জমা পড়ছে তো।
কেন্দ্রীয় সরকার এবার কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে যে, কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া টাকা যেনো পিএফ অ্যাকাউন্টে (Provident Fund) জমা পড়ে। এই বিষয় নিয়ে শুক্রবারই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য ইপিএফও আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। নিয়মিত যেন কর্মীদের বেতন থেকে কেটে নেওয়া টাকা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা হয়। এই ব্যাপারে আর্থিক লেনদেনে স্বচ্ছতা থাকা একান্ত প্রয়োজন। তার জন্য একটি ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো পড়ুন: নতুন সুদের হার ঘোষণা, এবার সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কত হারে প্রভিডেন্ট ফান্ডে মিলবে সুদ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরো জানিয়েছেন, এবার থেকে ইপিএফও-তে (Provident Fund) স্বচ্ছতা আনতে হবে। স্বচ্ছতা আনার ফলে স্বচ্ছতা আনার ফলে কর্মী এবং সংস্থা উভয়ের ভরসা আরো বাড়বে। এর জন্য প্রয়োজন হবে সময়োপযোগী ডিজিটাল সিস্টেম তৈরি করার। এই সিস্টেমের মাধ্যমে কর্মীরা দেখতে পাবেন যে বেতন থেকে কত টাকা পিএফ-র জন্য কেটে নেওয়া হচ্ছে এবং তা পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা পড়ছে কি না।
প্রভিডেন্ট ফান্ড এর নিয়ম অনুযায়ী, কর্মীদের বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার জন্য কেটে নেওয়া হয়। যে ব্যক্তি যে সংস্থায় কাজ করে থাকে সেই সংস্থাও ১২ শতাংশ অর্থ জমা করে পিএফ অ্যাকাউন্টে। চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর কিংবা চাকরি ছাড়ার পর সেই টাকা কর্মীরা ফেরত পেয়ে যান।