বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ সারা বছরই দূর দূরান্ত থেকে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকরা সিকিমের (Sikkim Tour) মতো পাহাড়ি রাজ্যে ঘুরতে আসেন। এখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে ছুটে এসে পর্যটকরা সিকিমের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যান। এমনকি মরশুমের সময় সিকিমে এতটাই ভিড় হয় যে হোটেল থেকে শুরু করে যানবাহন ইত্যাদি আগে থেকে বুক না করলে সমস্যায় পড়তে হয়।
যে সকল পর্যটকরা সিকিম ঘুরতে আসেন সেই সকল পর্যটকদের অধিকাংশকেই দেখা যায় নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন অর্থাৎ শিলিগুড়ি হয়ে সিকিম পৌঁছাতে। বিশেষ করে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের পর্যটকরা এই রুটটিকেই বেছে নেন সিকিম যাওয়ার জন্য। এক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই বেড়ে যায়। কেননা ট্রেনের ভাড়ার পাশাপাশি শিলিগুড়ি থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক হয়ে শিলিগুড়ি পৌঁছাতে অন্ততপক্ষে ৪০০০ টাকা লাগে গাড়িতে। খরচের থেকেও সবচেয়ে বড় কথা হলো সময়।
কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি পৌঁছাতেই সময় লাগে সুপারফাস্ট ট্রেনে অন্ততপক্ষে ১০ থেকে ১২ ঘণ্টা (বন্দে ভারত, শতাব্দী এক্সপ্রেস বাদে)। তারপর আবার সেখান থেকে সিকিমের গ্যাংটক পৌঁছাতে আরও ৪-৫ ঘন্টা। এমন পরিস্থিতিতে শিলিগুড়িতে টপকে সিকিম যাওয়ার একমাত্র উপায় হল বিমান। কলকাতা থেকে সোজা বিমানে চড়ে সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর পৌঁছানো যায়। সর্বনিম্ন ভাড়া পড়ে ৬ হাজার টাকার মধ্যে। আর সময় লাগে মাত্র দেড় ঘন্টা।
তবে কলকাতা থেকে সিকিম যাওয়ার ফ্লাইটের সংখ্যা খুব কম। বর্তমানে কেবলমাত্র spice জেট পরিসেবা দিয়ে থাকে। কিন্তু এবার ফ্লাইট পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে ইন্ডিগো পরিসেবা দেওয়ার বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে। তাদের তরফ থেকে সিকিমের পাকিয়ং বিমানবন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিমান চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে কলকাতা সহ দিল্লিও।
স্পাইসজেটের বর্তমানে Bombardier Q-400 নামে একটি ফ্লাইট পরিষেবা দিয়ে থাকে। আগামী দিনে ইন্ডিগো ATR72 নামে একটি ফ্লাইট পরিষেবা দেবে। পুজোর আগেই এই বিষয়ে সুখবর আসবে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে কলকাতা দিল্লি ছাড়াও ব্যাঙ্গালোর, হায়দ্রাবাদ শহরের সঙ্গেও যোগাযোগ তৈরি হবে সিকিমের। ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে খরচ অনেকটাই কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে এবং সিকিমের পর্যটন শিল্প আরও উন্নত হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।