কলকাতা: রাজ্যে সিভিক ভলেন্টিয়াররা (Civic Volunteers) পুলিশের সহকারি হিসেবে কাজ করলেও তাদের বিরুদ্ধে কিন্তু অভিযোগের খামতি নেই। অনেকেই সিভিক ভলেন্টিয়ারদের এক্তিয়ার নিয়ে নানান প্রশ্ন তোলেন। প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাদের আচরণ নিয়ে। রাজ্যের বহু মানুষ বারবার অভিযোগ তোলেন, সিভিক ভলেন্টিয়াররা যেন তাদের নিজেদের এসপি মনে করে থাকেন। তাদের দুর্ব্যবহারের কারণেই বহু সময় এমন অভিযোগ করা হয়।
মূলত সিভিক ভলেন্টিয়াররা পুলিশের সহকারী হিসেবে নিযুক্ত হলেও তাদের কাজের গণ্ডি সীমাবদ্ধ। কাজের গণ্ডি সীমাবদ্ধ হলেও সেই গন্ডি টপকে তাদের কাজ করতে দেখা যায়। আবার এই সকল সিভিক ভলেন্টিয়াররা কোনরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই নিযুক্ত হয়ে আসছেন। প্রশিক্ষণ ছাড়া নিযুক্ত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে অনেকেই আবার প্রশ্ন তুলতে থাকেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে এবার রাজ্য ও কলকাতা পুলিশ তাদের প্রশিক্ষণ (Civic Volunteers Training) দেবে।
সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দুর্ব্যবহার বন্ধ করে তাদের ভদ্র এবং শৃংখল হওয়ার জন্য কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ শৃঙ্খলার পাঠ দেবে বলেই জানা যাচ্ছে সূত্র মারফত। ৪৫ দিনের এই প্রশিক্ষণ হবে বলেও জানা গিয়েছে। যে প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে তাদের শৃংখলার পাঠ দিয়ে জানানো হবে, কিভাবে আইন-শৃংখলার দায়িত্ব সামলাতে হয়, কি করা উচিত আর কি করা উচিত নয়, আইনের ধারায় কি কি বলা রয়েছে ইত্যাদি।
আরও পড়ুন : Jawhar Sircar: আরজি করের প্রতিবাদ, তৃণমূলকে ধাক্কা দিয়ে সাংসদ পদ ও দল ছাড়লেন জহর সরকার
৪৫ দিনের এমন প্রশিক্ষণ শিবির আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু করার বিষয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ করছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ডিজি এবং কলকাতা পুলিশের পুলিশ কমিশনারকে এমন বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। প্রশিক্ষণ ছাড়াই সিভিক ভলেন্টিয়ার নিয়োগের ক্ষেত্রে যে অভিযোগ বারবার তোলা হয় এবং সিভিক ভলেন্টিয়ারদের ব্যবহার নিয়ে যে অভিযোগ উঠে আসে তা কিছুটা হলেও দূর হবে বলে আশা করা হচ্ছে এমন ট্রেনিংয়ের ফলে।
মূলত আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ঘটে যাওয়া ঘটনার পর বারবার সিভিক ভলেন্টিয়ারদের দিকে আঙুল তুলতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বাসিন্দাদের। এমন পরিস্থিতিতে সিভিক ভলেন্টিয়ারদের শৃংখলবদ্ধ করা যেন রাজ্য সরকারের কাছে নতুন চ্যালেঞ্জ। শুধু শৃঙ্খলবদ্ধ করা নয় পাশাপাশি তাদের গায়ে যে সকল কালির দাগ রয়েছে তাও মুছে ফেলতে তৎপর হচ্ছে রাজ্য সরকার।