5G Smartphones: বর্তমান সময়ে স্মার্টফোন ছাড়া একদিনও থাকা অসম্ভব। স্মার্টফোন শুধুমাত্র যে বিনোদনের কাজে লাগে তা নয় বিভিন্নরকম দরকারি কাজেও এর গুরুত্ব অপারেশন। কোন একসময় আমেরিকা ছিল স্মার্টফোনের অন্যতম বৃহত্তম বাজার। কিন্তু বর্তমানে তাকে ছাড়িয়ে গেছে ভারত। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম ৫জি স্মার্টফোনের বাজার এখন ভারতেই। প্রতিযোগিতার বাজারে চীনকে কড়া টক্কর দিচ্ছে ভারত।
স্মার্টফোনের বাজারে চীনের বেজিংই ছিল স্মার্টফোনের (5G Smartphones) বাজারে বিশ্বের মধ্যে প্রথম বৃহত্তম মার্কেট। তালিকার দুই নম্বরে আধিপত্য বিস্তার করেছিল আমেরিকা কিন্তু বর্তমানে তার স্থান কেড়ে নিয়েছে ভারত। আমেরিকাকে পিছনে ফেলে সেই জায়গা দখল করে নিয়েছে ভারত। ২০২৪ সালের প্রথমার্ধের হিসাবে এমনটাই প্রকাশ্যে এসেছে।
একটি রিপোর্টের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে, শাওমি, ভিভো ও স্যামসাং যেদিন থেকে সাশ্রয় মূল্যে ৫জি স্মার্টফোন (5G Smartphones) মার্কেটে লঞ্চ করেছে তারপর থেকেই বেড়ে গেছে এই ফোনের চাহিদা। সেই কারণে ভারতেও এই ফোন নির্মাণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের প্রথম দিকে গোটা বিশ্বে ৫জি স্মার্টফোনের বাজার ২০ শতাংশ বেড়েছে। আগের বছরের থেকে অনেকাংশই বৃদ্ধি পেয়েছে এই বছরের বিক্রি।
আরো পড়ুন: ফোন চার্জ হয়ে গেলেও বোর্ডে লাগানো চার্জার! খাল কেটে কুমির ডাকার মতই
৫জি স্মার্টফোনের বাজারে নিজের একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে রয়েছে অ্যাপেল। মার্কেটের ২৫ শতাংশ স্মার্টফোন তাদেরই নির্মাণ করা। মার্কেটে সবথেকে বেশী চাহিদা হল আইফোন ১৪ ও ১৫ সিরিজের। স্যামসাং ইতিমধ্যে বাজারে নিজেদের শক্ত ভিত গড়ে তুলেছে। তাদের দখলে ২১ শতাংশ বাজার। গ্যালাক্সি এ ও এস২৪ সিরিজ মার্কেটে সবথেকে বেশি বিক্রি হয়েছে। তৃতীয় নম্বরে জায়গা করে নিয়েছে শাওমি। শুধুমাত্র ভারতে নয় এরা ভারতের বাইরে মধ্য প্রাচ্য, ইউরোপ ও চীনে ৫জি ফোনের চাহিদা বাড়িয়ে তুলেছে। এর পাশাপাশি ভিভো হলো এমন একটি কোম্পানি যাদের চাহিদা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই চীনের সাথে সাথে এখন ভারত শুরু করে দিয়েছে স্মার্টফোনের কাজ। এশিয়ার বাজারগুলোতে ৫ জি স্মার্টফোন বিক্রি বৃদ্ধি পাচ্ছে। তালিকাতে পিছিয়ে নেই মটোরোলা, এরা খুব তাড়াতাড়ি উন্নতি লাভ করছে।
ভারত ছাড়াও ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জ ও লাতিন আমেরিকার বাজারেও ওই সংস্থার ৫জি ফোনের চাহিদা আকাশছোঁয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির হাত দিয়ে ২০২২ সালের অক্টোবর মাসে প্রথম আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয়েছিল 5G পরিষেবার। তারপর থেকে এই ফাইভ-জি পরিষেবার চাহিদা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কারণ স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় সবাই চায় দ্রুত পরিষেবা। বর্তমানে আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গিয়ে ভারত পৌঁছে গেছে দ্বিতীয় নম্বরে।