বাংলাএক্সপি ডেস্কঃ বর্ষার মরশুমে বাঙালিরা ইলিশের (Ilish) দিকে তাকিয়ে থাকেন। ইলিশের ক্ষেত্রে বাঙ্গালীদের যে চাহিদা রয়েছে সেই চাহিদা পূরণের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে ইলিশ আমদানি করতে হয়। এমনিতে যা চাহিদা সেই চাহিদার কিছুটা হলেও পূরণ হয় দীঘা, শংকরপুর, কাকদ্বীপ, বকখালি, ফ্রেজারগঞ্জের ইলিশ থেকে। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের চাহিদা পূরণ নয়, এর পাশাপাশি লাখ লাখ টাকার ইলিশ চলে যায় বিদেশেও (Ilish Export West Bengal)।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দাদের ইলিশের চাহিদা পূরণের জন্য ওপার বাংলার উপর ভরসা করতে হয়। এমনটা প্রত্যেকেই জানেন। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ইলিশও বিদেশের বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে যায়, তা অনেকেই জানেন না। রাজ্যের বাসিন্দাদের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাসিন্দাদের ইলিশের চাহিদা মেটানো হয়ে থাকে, এমনটাই জানা যাচ্ছে বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে।
পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দারা বাংলাদেশের পদ্মার ইলিশের দিকে প্রত্যেক বছর তাকিয়ে থাকলেও এই বছর কবে তা আসবে তা কারো জানা নেই। আদৌ আসবে কিনা তা নিয়েও রয়েছে সন্দেহ। এসবের পরিপ্রেক্ষিতে ইলিশের ঘাটতি পূরণে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা ছাড়াও মুম্বাই, গুজরাত, মায়ানমারের ইলিশে বাজার ছেয়ে গেছে। তবে এর পাশাপাশি দীঘা, ডায়মন্ড হারবার, ফ্রেজারগঞ্জ থেকেও ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Bus Service Resumption: বন্ধ থাকা একটি রুটে ফের চালু হলো বাস পরিষেবা, খুশির স্থানীয়রা
বাণিজ্য মন্ত্রক সূত্রে যা জানা গিয়েছে তাতে চলতি অর্থ বর্ষে এখনো পর্যন্ত ০.২৯ টন ইলিশ বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে। যার মূল্য ৩ লক্ষ ২৮ হাজার টাকা। রপ্তানি করা এই ইলিশের পুরোটাই গিয়েছে ইউনাইটেড কিংডমে। শুধু এই বছর নয়, গত অর্থ বর্ষেও বিপুল পরিমাণ ইলিশ ইউনাইটেড কিংডমে রপ্তানি করা হয়েছিল। ইউনাইটেড কিংডমে গত অর্থবর্ষে ১.৪৫ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল, যার বাজার মূল্য ছিল ১৫ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা।
সম্প্রতি বাংলাদেশে নতুন অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হওয়ার পর ইলিশ রপ্তানি করা নিয়ে বাংলাদেশ রীতিমতো নিজেদের গরজ দেখাতে শুরু করেছে। তাদের এমন গরজ দেখানোর পিছনে সব থেকে বড় কারণ হলো ওপার বাংলায় সবচেয়ে বেশি ইলিশের উৎপাদন এবং বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যে পরিমাণ ইলিশ রপ্তানি করা হয় তার অধিকাংশই তাদের দখলে রয়েছে। এক্ষেত্রে তাদের এমন গরজ কতদিন তারা ধরে রাখতে পারেন সেটাই এখন দেখার।