Nathan Bracken: আমরা সাধারণত দেখতে পাই ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়ার পর অধিকাংশ ক্রিকেটাররা কোচিং, ধারাভাষ্য ইত্যাদি পেশার সঙ্গে যুক্ত হন। বহু ক্রিকেটার এমন আছেন যারা ইউটিউব চ্যানেল খোলেন, যেখানে তারা নিজস্ব ক্রিকেট সংক্রান্ত বিভিন্ন রকম টিপস এবং মতামত পেশ করে থাকেন। অনেকে আবার বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে উপার্জন করে থাকেন। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন একজন ক্রিকেটার সম্পর্কে জানব যিনি সবার থেকে আলাদা এবং নিজের জীবন অতিবাহিত করছেন সামান্য এক চাকরি করে।
সমস্ত ক্রিকেটার তাদের অবসর জীবন যে একইভাবে অতিবাহিত করবে তার কোন মানে নেই। বহু ব্যতিক্রমী ক্রিকেটারকে আমরা লক্ষ্য করেছি। সচিন তেন্ডুলকর থেকে বীরেন্দ্র সেওয়াগকে ব্যাটিংয়ে চাপে ফেলতেন এই বিদেশী ক্রিকেটার, এমনকি তিনি অফার পেয়েছিলেন আইপিএলের অন্যতম ধনী এবং জনপ্রিয় টিম আরসিবি (RCB) থেকে। কোটি টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে এখন এই চাকরি করছেন এই ক্রিকেটার (Nathan Bracken)।
প্রতিবেদনে আমরা আলোচনা করছি নাথান ব্র্যাকেনকে নিয়ে। নাথান অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে ২০০১ সাল থেকে ২০০৯ সাল অবধি খেলেছেন। ৫টি টেস্ট, ১১৬টি ওডিআই এবং ১৯টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন নাথান। টেস্ট, ওডিআই এবং টি-টোয়েন্টি এই তিন ফর্ম্যাটে যথাক্রমে তিনি নিয়েছেন ১২টি, ১৭৪টি ও ১৯টি উইকেট। তার বোলিংয়ের অসাধারণ ক্ষমতা এবং দক্ষতা চাপে ফেলে দিত বড় বড় ক্রিকেটারদের। বল দুই দিকে সুইং করানোর ক্ষমতা ছিল তাঁর। সচিন থেকে শুরু করে সেওয়াগদের ২২ গজে তিনি মাঝে মাঝেই বিপদে ফেলে দিতেন। তবে দুঃখজনক ভাবে হাঁটুতে বারবার চোট পেয়ে অনেক আগেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন নাথান (Nathan Bracken)।
আরো পড়ুন: IPL-এর নিয়মে বদল নিয়ে জল্পনা, নতুনত্ব আনতে হতে পারে অনেককিছু
ভারতে অনুষ্ঠিত আইপিএলেও তিনি খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিন্তু সেই সুযোগ তিনি ত্যাগ করেন। ২০১১ সালের আইপিএলের নিলামে ১.৩ কোটি টাকায় রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর নিয়েছিল। আরসিবির এই প্রস্তাব গ্রহণ করেননি এই ক্রিকেটার। ক্রিকেটারদের জীবন হয় লাইমলাইটে মোড়া। কিন্তু এই জীবন থেকে তিনি অনেক দূরে চলে যান।
পরবর্তীকালে অবশ্য নাথান (Nathan Bracken) যোগ দেন কর্পোরেট জগতে। বিভিন্ন রিপোর্টের মাধ্যমে জানা যায় যে, সম্প্রতি তিনি ফুলটন হোগান কোম্পানির অ্যাকাউন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজ করছেন। ঝাঁ চকচকে জীবন ছেড়ে এখন একেবারে সাধারণ জীবনযাপন করছেন তিনি। অস্ট্রেলিয়া টিমের হয়ে ২০০৩ ও ২০০৭ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন বাঁ-হাতি জোরে বোলার। ২২ গজের মাটি ছেড়ে এখন তিনি এক অন্য দুনিয়ায় বিরাজ করছেন।