এক মোষের দাম ৩৫ কোটি, অবাক হবেন এক ফোঁটা বীর্যের দাম শুনলে

Antara Nag

Updated on:

Advertisements

একটি গবাদি পশুর দাম কত হতে পারে? ধারণা আছে কোন? হায়দ্রাবাদের প্রতিবছর একটি সদর ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে থাকে সেখানকার যাদব সম্প্রদায়ক মানুষেরা। সেই ফেস্টিভ্যালে আগত একটি মোষের সন্ধান মিলেছে, যার দাম ৩৫ কোটি টাকা। হায়দ্রাবাদে এই সদর ফেস্টিভালে প্রতিবছর বিভিন্ন প্রজাতির মোষ নিয়ে একটি প্রদর্শনী মেলা বসে। এই বছর সেখানে নজর কেড়েছে এই বিশেষ প্রজাতির মোষটি। তার নাম হলো গরুড়। গরুড়ের মালিক মধু যাদব জানান ৩৫ কোটি টাকা দিয়ে তিনি এই মোষটি কিনেছিলেন। কিন্তু কেন এত দাম? কি আছে এই মোষের বিশেষত্ব যার কারণে মোষটি এত দামি হয়ে উঠেছে?

Advertisements

গরুড়ের আগের মালিকের নাম ছিল হায়মাদ আলম খান। তার কাছ থেকে মাত্র ১ মাস আগে এই মোষটিকে ৩৫ কোটি টাকা দাম দিয়ে কিনেছিলেন মধু যাদব। মধুবাবু জানান, কোন মোষের দাম ঠিক হয় সেই মোষের বীর্যের গুণগত মানের উপর ভিত্তি করে। মধু যাদবের কথায় এই মোষের প্রতি ফোঁটা বীর্যের দাম ১২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত। আর সেই কারণেই এই কথা চাউর হতেই প্রদর্শনীতে মানুষ জমাচ্ছে গরুড়কে দেখার জন্য।

Advertisements

এখন স্বভাবতই প্রশ্ন উঠেছে কি খায় এই মোষ? গরুড়ের মালিক মধু যাদবের কাছ থেকেই জানা গেছে গরুড়ের প্রাত্যহিক খাদ্য তালিকায় রয়েছে দুধ, পেস্তা, আমন্ড, কাজু, আপেল, মুরগির ডিম, বাদাম, ছোলা, বিট, গাজরের মত পুষ্টিকর খাদ্যসমূহ। যদিও একা গরুড় নয় তার মত আরও অনেক বিশেষ প্রজাতির মোষ এসেছে হায়দ্রাবাদের এই প্রদর্শনী মেলাতে। যেমন রয়েছে হরিয়ানার রাজু।

Advertisements

রাজুর অ্যাক্রোবেটিস্কের দক্ষতাও নজর কেড়েছে প্রদর্শনীতে আসা সকল দর্শকদের। আসলে এই মেলা হল মোষের শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ। প্রদর্শনীতে যে মোষ যত বেশি শারীরিক কসরত দেখাতে পারবে প্রতিযোগিতা জেতার সম্ভাবনাও তার ততই বেশি। আর সেরা হতে পারলে শুধু মোষ নয় নাম ও খ্যাতি জোটে মোষর মালিকদেরও। কারণ একটি মোষকে যথাযথভাবে তৈরি করতে তার মালিকদেরও খাটনি কম হয় না। মোষটিকে যাবতীয় কসরত শেখানোর জন্য উপযুক্ত প্রশিক্ষণ তার মালিকরাই দিয়ে থাকেন।

উল্লেখ্য, যে প্রতিবছরই হায়দ্রাবাদের এই সদর ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করা হয়ে থাকে। কিন্তু করোনার কারণে লকডাউন থাকার জন্য গত দুই বছর এই আয়োজনে অনেকটাই ভাটা পড়েছিল। এবছর করোনা সংকট কাটিয়ে মানুষ স্বাভাবিক ছন্দে ফিরেছে। দু’বছর পর তাই আবারও এই ফেস্টিভ্যাল নিজের স্বমহিমায় ফিরে এসেছে। আর প্রত্যাবর্তনের বছরেই গরুড় বা রাজুর তাদের বিশেষত্ব দেখিয়ে উপস্থিত দর্শকদের নজর কেড়েছে।

Advertisements