লাল্টু : চা বিক্রি করে কোনরকমে চলছিল সংসার। তবে সোমবার সেই চাওয়ালার ভাগ্য ফিরল। মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই ওই চাওয়ালা হয়ে উঠলেন কোটিপতি। তিনি এমন কোটিপতি হয়ে উঠেছেন মূলত ডিয়ার লটারিতে প্রথম পুরস্কার পাওয়ার দৌলতে (Dear Lottery 1st Prize)। ডিয়ার লটারিতে পাওয়া প্রথম পুরস্কার অর্থাৎ কোটি টাকা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে ওই চাওয়ালাকে।
মাত্র কয়েক ঘণ্টার মধ্যে চাওয়ালা থেকে কোটিপতি হয়ে ওঠা ওই ব্যক্তি হলেন বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দুবরাজপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কলুপাড়ার বাসিন্দা অরুণ গড়াই। তবে তিনি এই প্রথম লটারির টিকিট কাটলেন এমন নয়, তার লটারির টিকিটের উপর রয়েছে বড় নেশা। তিনি প্রায় প্রতিদিনই ১০০ থেকে ১২০ টাকার পর্যন্ত লটারির টিকিট কাটতেন।
অরুন গড়াইয়ের থেকে জানা গিয়েছে, দুবরাজপুর কোর্টের সামনে তার ছোট চায়ের দোকান রয়েছে। সেখানে চা বিক্রি করেই সংসার চালাতেন। ওই চায়ের দোকান থেকেই যে রোজগার হতো তা দিয়েই ১০০ থেকে ১২০ টাকার লটারির টিকিট কাটতেন। লটারিতে পুরস্কার জিতে নিজের ভাগ্য বদলানোর আশাতেই টিকিট কাটতেন। মাঝে মাঝে অল্পস্বল্প পুরস্কারও লাগতো। তবে কোনদিন ভেবে উঠতে পারেননি, তার এইভাবে প্রথম পুরস্কার কোটি টাকা লাগবে।
আরও পড়ুন ? Lottery Winning Tricks: লটারি জিততে চান, এই ৫ কৌশলে হতে পারেন কোটিপতি
সোমবার সকালবেলায় তিনি ৩০ টাকার ৫ সেমের টিকিট কাটেন। এরপর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার কাছে টিকিট বিক্রেতার থেকে ফোন আসে এবং জানানো হয়, তার কাছে থাকা টিকিটে প্রথম পুরস্কার হিসাবে এক কোটি টাকা লেগেছে। প্রথমদিকে বিষয়টি তার কাছে বিশ্বাসযোগ্য না হলেও পরে টিকিটের নম্বর মিলিয়ে দেখেন সত্যিই তার টিকিটে প্রথম পুরস্কার লেগেছে। এরপরই তিনি এলাকার স্থানীয় কাউন্সিলর ভাস্কর রুজকে বিষয়টি জানান এবং তারা থানায় আসেন নিরাপত্তা ও পরবর্তী পদক্ষেপের জন্য।
ডিয়ার লটারিতে প্রথম পুরস্কার পাওয়া অরুণ গড়াই জানিয়েছেন, চায়ের দোকান করে অল্পস্বল্প রোজগারের পরিপ্রেক্ষিতে কোনরকম সংসার চলে যেত। সেইভাবে ভালো বাড়িঘর নেই। এখন পুরস্কারে জেতা টাকা দিয়ে বাড়িঘর এবং ভালো করে দোকান করবেন। এছাড়াও তার মেয়ের ভবিষ্যৎ যাতে ভালো করে কাটে তার জন্য তিনি প্রয়োজনীয় পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন এই টাকা থেকেই।