হিমাদ্রি মন্ডল : সরাসরি চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ উঠলেও ইমেল বিভ্রাটের কারণে এক ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্সে অপেক্ষারত অবস্থা মৃত্যু হল এক করোনা রোগীর। ঘটনা বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। মৃতার ছেলের এমনটা অভিযোগ হলেও হাসপাতালের কর্মীদের তরফ থেকে তা অস্বীকার করা হয়।
জানা গিয়েছে, বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত রজতপুরের পূর্ব বাহাদুর পাড়ায় এক মহিলা করোনা আক্রান্ত হন গত ৭ দিন আগে। এরপর হঠাৎ শুক্রবার তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির সদস্যরা তাকে বোলপুর হাস্পাতালে নিয়ে যান চিকিৎসার জন্য। সেখান থেকে বলা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য, যেখানে সদ্য করোনা চিকিৎসা শুরু হয়েছে।
মৃত ওই মহিলার ছেলে সন্তোষ রায়ের অভিযোগ, “সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আসার পর মাকে ভর্তি করার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলে তারা বলেন এখনও ইমেল আসেনি। মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ রয়েছে বারবার জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। প্রায় এক ঘন্টা অ্যাম্বুলেন্সে থাকার পর মা মারা যান।”
যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মৃত ওই মহিলার ছেলে এমনটা অভিযোগ করলেও হাসপাতালে কর্মরত কর্মীরা কেউ ক্যামেরার সামনে কথা বলতে চাননি। তবে তাদের দাবি, বোলপুর হাসপাতাল থেকে ই-মেল না আসার কারণে কিছুক্ষণের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছিল ঠিকই কিন্তু তা বড়জোর ১৫ মিনিটের বেশি নয়।
তবে তাদের যখন এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রশ্ন করতে যাওয়া হয় তখন তারা ক্যামেরা থেকে মুখ লুকানোর চেষ্টা করেন। যদিও এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষের দাবি, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ। রোগীকে আনার কয়েক মিনিটের মধ্যে ভর্তি করা হয়েছে। গাফিলতির কোনো জায়গা নেই।