শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : পাখিরা সাধারণত বাড়িতে থেকে থেকে খুব সহজেই পোষ মেনে যায়। সেই সঙ্গে টিয়া, ময়না পাখিরা উপযুক্ত প্রশিক্ষণ পেলে কিন্তু মানুষের মতোই সমস্ত কথা বলতে শিখে যায়। এরকম উদাহরণ আমরা প্রায় সবাই দেখেছি। কিভাবে কোনো বাড়ির টিয়া বা ময়না পাখি মানুষের গলায় কথা বলে থাকে।
কিন্তু এবারের ভাইরাল হওয়া ঘটনাটি কিন্তু টিয়া বা ময়না এদের কাউকে নিয়েই নয়। এই ভিডিওর প্রধান আকর্ষণ হলো একটি কাক। কাক অবিকল মানুষের গলায় আবার বাংলা ভাষায় কথা বলে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বাংলাদেশের রাজশাহী জেলায়। ওই এলাকার এক যুবতীর পোষ্য কাকটি মানুষের গলায় বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে। এক প্রবল ঝড়ের রাতে ওই পক্ষ্মীছানাটি ওই যুবতীর বাড়িতে এসে পড়ায়। ওই যুবতীর দয়া হয়। সে নিজে হাতে পরম স্নেহের সাথে কাকটিকে নিজের কাছে রেখে দেন। তারপর থেকে অত্যন্ত যত্নে কাক টিকে ওই যুবতী একটু একটু করে বড়ো করে তুলেছেন। আদর করে যুবতী ওই কাকটির নাম ও দিয়েছেন কামিনী।
তবে ওই কাকের প্রধান বিশেষত্ব হলো সে মানুষের ভাষায় অবিকল কথা বলতে পারে। ওই যুবতীই কাক টিকে ছোট থেকে একটু একটু করে কথা বলতে শিখিয়েছে। তাকে পোষ মানিয়েছে বাংলা ভাষায়।
বাংলাদেশের আশরাফ আলীর বাড়িতে কাকটির সন্ধানে আসেন বহু সাংবাদিক। তার মুখ থেকে বাংলা ভাষায় কথা শোনার আগ্রহ সবার।
ভিডিওটিতে দেখা গিয়েছে কাকটি কিভাবে গৃহপোষ্য এর ন্যায় মেয়েটিকে সে যে কতটা ভালোবাসে তাই যেনো বোঝাতে চেয়েছে। এমন স্বার্থ বিহীন ভালোবাসা যেন বিরল। তার সাথে সাথে কাকটির বাংলা ভাষায় কথা বলা সবমিলিয়ে ভিডিওটি রীতিমতো ভাইরাল হয়েছে।