নিজস্ব প্রতিবেদন : চলতি বছর বর্ষার মরশুমে (Monsoon) সেই ভাবে বৃষ্টির দেখা মেলেনি। তবে পরবর্তীতে দফায় দফায় নিম্নচাপের কারণে হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টির মুখোমুখি হয়েছে বাংলা। গত কয়েকদিন ধরেই বিশ্বকর্মা পুজো, গণেশ চতুর্থীতে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal)অধিকাংশ জেলায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে ভিজেছে, কোনো কোনো জেলাকে আবার ভারী বৃষ্টির মুখোমুখি হতেও দেখা গিয়েছে। আর এসবের মধ্যেই এবার অশনি সংকেত হিসাবে হাজির ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone) আশঙ্কা।
চলতি বছর অক্টোবর মাসে দুর্গাপুজো (Durga puja)। পশ্চিমবঙ্গে ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হওয়ার পাশাপাশি এখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যেও ধুমধাম করে দুর্গাপুজো হয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন জায়গায় এই সময় নবরাত্রি থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন হাওয়া অফিস সূত্রে জানা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসেই তাণ্ডব লীলা চালানোর জন্য হাজির হতে পারে একটি ঘূর্ণিঝড়।
অক্টোবর মাসে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো পর্যন্ত সরকারি হওয়া অফিস অর্থাৎ আইএমডির (IMD) তরফ থেকে কিছু পূর্বাভাস দেওয়া হয়নি। তবে তাদের তরফ থেকে কোনরকম পূর্বাভাস দেওয়া না হলেও অন্যান্য একাধিক আবহাওয়া গবেষণা সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ২৮ সেপ্টেম্বর পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে পারে একটি শক্তিশালী নিম্নচাপ। আর সেই নিম্নচাপই ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে।
২৮ সেপ্টেম্বর পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে যে শক্তিশালী নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে সেটি অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে পারে। অ্যাকিউ ওয়েদারের আন্তর্জাতিক আবহাওয়াবিদ জেসন নিকোলাস জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বর মাসের শেষের দিকে অথবা অক্টোবর মাসের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের জন্ম হতে পারে।
তবে এই ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ কোনদিকে হবে অর্থাৎ কোন দিকে ধেয়ে যাবে তা সম্পর্কে এখনই নিশ্চিতভাবে কারো পক্ষে কিছু বলা সম্ভব নয় বলেই জানা যাচ্ছে। এর জন্য আরও কয়েকদিন অপেক্ষা করতে হবে এবং পরিস্থিতির ওপর নজর রাখতে হবে বলে জানানো হচ্ছে আবহাওয়াবিদদের তরফ থেকে। তবে অনুমান করা হচ্ছে, ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবরের মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব পড়তে পারে পূর্ব ভারতে। কারণ অনেকেই মনে করছেন এর অভিমুখ হতে পারে পূর্ব ভারত।