নিজস্ব প্রতিবেদন : তীব্র গরমে ২০ দিন কাটানো, এরপর স্বস্তি, এরপর আবার অস্বস্তি শুরু হতেই আরও একটি বড় দুর্যোগের আশঙ্কা তৈরি হতে শুরু করেছে। আর সেই দুর্যোগ হল ঘূর্ণিঝড় (Cyclone)। প্রাথমিক পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, চলতি মাসেই বাংলার বুকে আমফানের পথে আছড়ে পড়তে পারে একটি ঘূর্ণিঝড় (Cyclone Chance in May)।
আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনই এই ঘূর্ণিঝড় সম্পর্কে কিছু জানানো না হলেও প্রাথমিক পূর্বাভাস থেকে জানা যাচ্ছে, মে মাসের শেষের দিকেই ওই ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আগামী ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে এবং সেই ঘূর্ণাবর্ত পরবর্তীতে উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। আর এই পূর্বাভাস থেকেই তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা।
হাওয়া অফিসের প্রাথমিক অনুমান থেকে জানা যাচ্ছে, ২০ মে দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া ওই ঘূর্ণাবর্ত উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে শক্তি সঞ্চয় করার পর তা ২৪ মে ঘূর্ণিঝড়ের আকার নিতে পারে। এরপর ২৫ মে সন্ধ্যার দিকে পশ্চিমবঙ্গ অথবা বাংলাদেশ উপকূলবর্তী এলাকার ভূখণ্ডে প্রবেশ করতে পারে। তবে এই ঘূর্ণিঝড় খুব বেশি শক্তিশালী হবে না এমনটাই আশা করা হচ্ছে হাওয়া অফিসের তরফ থেকে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এই ঘূর্ণিঝড় প্রসঙ্গে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে বলা হয়েছে, যতক্ষণ না ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হচ্ছে ততক্ষণ ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ অথবা শক্তি সম্পর্কে সুনিশ্চিতভাবে কিছু বলা যায় না। তবে এই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে এর নাম হবে রেমাল (Remal)। এছাড়াও যদি ঘূর্ণিঝড়টি তৈরি হয় এবং তার শক্তি কম হলেও প্রভাব পড়বে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে।
হাওয়া অফিসের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত যা অনুমান করা হচ্ছে তাতে ওই ঘূর্ণিঝড়ের শক্তি খুব একটা বেশি হবে না। যদি ওই ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় তাহলে তার কেন্দ্রের হাওয়ার সর্বোচ্চ গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় ১০০ কিলোমিটার। আর এর ফলে উপকূলবর্তী এলাকায় কিছুটা হলেও ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে। এছাড়াও এই ঘূর্ণাবর্ত অথবা ঘূর্ণাবর্ত থেকে তৈরি হওয়ার ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কার কারণে ২৬ মে পর্যন্ত বৃষ্টি চলতে পারে বলেও মনে করা হচ্ছে।