লাইগেশনের পরেও গর্ভে ভ্রুন! সফল অস্ত্রোপ্রচারে নজির চিকিৎসকের

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব সংবাদদাতা : বন্ধ্যাত্বকরনেরও পরেও ফের গর্ভে এলো ভ্রুন! বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন অস্ত্রোপ্রচার প্রথম। আর অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রেও এমন নজির আছে কি না মনে করতে পারছেন না কেউ। আর এমন নজির গড়লেন মফঃস্বল এলাকা বীরভূমের সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক চিকিৎসক।

Advertisements

Advertisements

তবে এমন অসাধ্য সাধন হলো কি ভাবে? এর পিছনে রয়েছে এক মহিলার জীবনের টানাপোড়েন। ওই মহিলা হলেন সাঁইথিয়া থানার নিজুরি গ্রামের গৃহবধূ মনি মুর্মু। তাঁর প্রথম বিয়ে হয় ২০১৫ সালে। নানান কারনে বিয়ের পর বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায় গৃহবধূর। আর ততদিনে করানো হয়েগেছে বন্ধ্যাত্বকরন অর্থ্যাৎ লাইগেশন। এরপর ২০১৯ সালের জানুয়ারি মাসে গৃহবধূর দ্বিতীয় বিবাহ হয় নিজুরির বাসিন্দা শান্তি মুর্মুর সাথে। দম্পতি ফের সন্তান গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু বাঁধ সাধে গৃহবধূর লাইগেশন। শুরু করেন খোঁজখবর।

Advertisements

খোঁজ খবর চালিয়ে জানতে পারা যায়, ফের গৃহবধু সন্তান ধারন করতে পারবেন তবে করতে হবে জটিল অস্ত্রোপ্রচার (রিক্যানালাইজেশন)। সাহস সঞ্চয় করে গৃহবধূ দ্বারস্থ হন সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ বিশ্বরূপ তা-র। ডিসেম্বর মাসে হয় অস্ত্রোপ্রচার। তিন মাস বাদে শনিবার গৃহবধূর ইউএসজি হলে নিশ্চিত হয় গৃহবধূ গর্ভবতী।

চিকিৎসক বিশ্বরূপ তা-র কথায়, “খুবই সূক্ষ এই অস্ত্রোপ্রচার। যে পরিকাঠামো লাগে তা সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সবসময় পাওয়া যায় না। চক্ষু অস্ত্রোপ্রচারের নানা ইন্স্ট্রুমেন্ট, বিশেষ সূতো ব্যবহার করে ২ ঘন্টা অস্ত্রোপ্রচারের মধ্য দিয়ে সফলতা মিলেছে। জেলা হাসপাতালের ক্ষেত্রে এই নজির প্রথম। সবচেয়ে চিন্তার, এই অস্ত্রোপ্রচারে সফলতার হার কম, মাত্র ৪০ শতাংশ। এদিন ইউএসজি করে নিশ্চিত হওয়া গৃহবধূ ফের মা হতে চলেছেন। দম্পতির পরিণত আচরন ও সহযোগিতা ছাড়া এটা সম্ভব ছিল না।”

গৃহবধূ মনি মুর্মু জানিয়েছেন, “খুবই আনন্দ হচ্ছে ফের মা হচ্ছি জানতে পেরে। ডাক্তারবাবুকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা নেই।”

Advertisements