নিজস্ব প্রতিবেদন : ‘নুন আনতে পান্তা ফুরায়’, এমন পরিবারের অভাব ভারতের মতো দেশে অন্তত নেই। অলিতে গলিতে এমন অজস্র পরিবার নজরে আসে। আবার এই সকল পরিবারের বেশকিছু যুবক-যুবতী নিজেদের এমন ভাবে প্রতিষ্ঠা করে তোলেন যা বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত তৈরি করে। এবারও এমনই এক দৃষ্টান্ত তৈরি করলেন হরিয়ানার কৃষক ঘরের ছেলে অবিনাশ ছিকারা।
অবিনাশের পড়াশোনার খরচ যোগানোর মতো আর্থিক সঙ্গতি ছিল না। যে কারণে কচিকাঁচাদের টিউশন পরিয়ে সে তার বি টেক-এর খরচ যোগাতেন। তবে এই যুবকের লক্ষ্য ছিল স্থির। যে কারণে যখনই সময় পেতেন কোনোভাবেই তা নষ্ট না করে নিজের কলেজের লাইব্রেরী এবং কম্পিউটার সেন্টারে গিয়ে জ্ঞানের পরিধি বাড়াতেন। সাফল্য পেতে পরিশ্রমের কোন বিকল্প নেই তাই-ই আবারও প্রমাণিত এই যুবকের সফলতায়।
অবিনাশ দীনবন্ধু ছোটু রাম ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি থেকে ইলেকট্রনিক্সে বি টেক পাশ করার পর তার সফলতার নজির হিসাবে তিনি পেলেন অ্যামাজনের মতো সংস্থায় বার্ষিক ৬৭ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরি।
অবিনাশ ছিকারা হরিয়ানার সোনিপতের ক্রাবেরি গ্রামের বাসিন্দা। তার জন্ম কৃষক পরিবারে এবং সেই কৃষক পরিবারেই বেড়ে ওঠা। তিনি জানিয়েছেন, “পরিবারের আর্থিক সঙ্গতির কারণে পড়াশোনা থেকে সব ক্ষেত্রেই অনেক কষ্ট লড়াই করতে হয়েছে। একটা সময় ছিল যখন কলেজের মাইনে দেওয়ার টাকা ছিল না। নিজের টিউশনি পড়িয়ে সেই অর্ধেক টাকা মিটেয়েছি।”
এরপর অ্যামাজনের ইন্টার্নশিপের জন্য আবেদন করেন অবিনাশ। সেখানে মাসে ২ লক্ষ ৪০ হাজার টাকায় ইন্টার্নশিপ করেন এবং সম্প্রতি তাকে সংস্থা বার্ষিক ৬৭ লক্ষ টাকার প্যাকেজের চাকরির প্রস্তাব দিয়েছে। পাশাপাশি এই চাকরি একবছর পার করলেই তার বেতন বার্ষিক এক কোটি টাকার বেশি অঙ্কে পৌঁছে যাবে।