Lottery Win: কষ্টের দিন অতীত! এবার কোটিপতি হতেই স্বপ্ন দেখা শুরু বীরভূমের ফেরিওয়ালার

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : ভাগ্যের চাকা কখন যে কার ঘুরে যায়, কেউ বলতে পারেন না। তখনই একজন নিঃস্বকে কোটিপতি হতে দেখা যাচ্ছে আবার তখনই একজন কোটিপতিকে সর্বস্ব হারিয়ে নিঃস্ব হতে দেখা যাচ্ছে। নিঃস্ব থেকে রাতারাতি কোটিপতি হওয়ার মত ঘটনা সাম্প্রতিককালে ভুড়িভুড়ি ঘটে চলেছে লটারির টিকিটের (Lottery Ticket) দৌলতে। ঠিক সেই রকমই এবার ভাগ্য ফিরল বীরভূমের এক ফেরিওয়ালার।

Advertisements

বীরভূমের যে ফেরিওয়ালার রাতারাতি ভাগ্য ফিরেছে তিনি নলহাটি থানার অন্তর্গত কুশিপাড়ার বাসিন্দা। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে ওঠা ওই ব্যক্তির নাম প্রভাত কুমার মাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরেই বিভিন্ন জিনিসপত্র গ্রামে গ্রামে ফেরি করে ঘুরে বেড়ান। আর তা থেকে যা রোজগার হয় তা দিয়েই তার সংসার চলে। তবে এবার লটারির টিকিটের দৌলতে তার কোটিপতি হয়ে ওঠার ফলে কষ্টের দিন ফুরালো।

Advertisements

প্রভাত কুমার মাল নামে ওই ফেরিওয়ালা বিহারের বিভিন্ন জায়গায় গ্রামে গ্রামে ঘুরে ফেরি করে বিভিন্ন জিনিসপত্র বিক্রি করে থাকেন। ওই সকল জিনিসপত্র বিক্রি করে তার সারাদিনে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকা রোজগার হয়। আর সেই টাকা দিয়েই বর্তমান দুর্মূল্যের বাজারে কোনক্রমে চলে যায় তার সংসার। তবে বাংলা নববর্ষের দিন সন্ধ্যা বেলায় তার ভাগ্য ফেরালো ডিয়ার লটারি। নববর্ষের দিন তিনি গ্রামের একটি দোকান থেকে ৩০ টাকার লটারির টিকিট কিনেছিলেন। সেই লটারির টিকিট এই প্রথম পুরস্কার হিসাবে লাগে এক কোটি টাকা।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Lottery Win: ‘ছেলের চিকিৎসা পরে হবে!’ লটারিতে কোটি টাকা জিততেই লাফিয়ে বাড়ি ফিরে এলেন রাজমিস্ত্রি দম্পতি

প্রভাতের কাছে সন্ধ্যাবেলায় কোটি টাকার পুরস্কার লেগেছে এমন ফোন আসে। ফোন আসার পরই তিনি রীতিমত আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন। এরপর নিরাপত্তার জন্য তিনি সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যান নলহাটি থানায়। সেখানে পুলিশকে সমস্ত বিষয় জানানোর পর পুলিশের তরফ থেকে প্রভাত বাবুকে সমস্ত রকম সহযোগিতার আশ্রয় দেওয়া হয়। লটারির টিকিটে জেতা কোটি টাকা পাওয়ার জন্য নলহাটি থানার পুলিশের তরফ থেকে সমস্ত রকম নিরাপত্তা ও সহযোগিতা দেওয়া হয় প্রভাত মালকে।

প্রভাত মাল জানিয়েছেন, তিনি মাঝে মাঝে টিকিট কাটতেন। তবে এইভাবে কোটি টাকার পুরস্কার তার ঝুলিতে আসবে তা তিনি কোনদিন ভাবতে পারেননি। তার পারিবারিক অবস্থা খুব খারাপ আর সেই কারণে তিনি এই টাকা নিয়ে বাবা-মা ও দাদার পাশে দাঁড়াতে চান। সবার স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি নিজেকেও প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখছেন তিনি।

Advertisements