নিজস্ব প্রতিবেদন : বর্ষার মরশুম উত্তরবঙ্গে ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন জেলায় ইতিমধ্যেই ঝেঁপে বৃষ্টি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর পাশাপাশি সমুদ্রে মাছ ধরার ক্ষেত্রেও ব্যান পিরিয়ড উঠে যাচ্ছে আগামী ১৪ জুন মধ্যরাত থেকে। আর এই মরশুমে বিভিন্ন নদ-নদী থেকে বড় বড় মাছ মৎস্যজীবীদের জালবন্দি হবে এমনটাই স্বাভাবিক। তবে এর আগেই জামাইষষ্ঠী আবহে এমন একটি মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠলো, যে একটি মাছেই লটারি লাগিয়ে দিল তাদের।
মঙ্গলবার রাতে অর্থাৎ জামাইষষ্ঠীর ঠিক আগের দিন রাতে এমন লটারি লাগতে দেখা গিয়েছে মৎস্যজীবীদের। মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছে একটি আস্ত বাঘা আড় মাছ (Bagha Aar Fish)। এই মাছটি দৈত্যাকৃতির। মাছটির ওজন ৮২ কেজি। ভাবতে পারেন একটি মাছের ওজন ৮২ কেজি! আর এই মাছ বিক্রি করে হাজার হাজার টাকা পান মৎস্যজীবীরা।
৮২ কেজি ওজনের এমন দৈত্যাকৃতির বাঘা আড় মাছটি উঠেছে উত্তরবঙ্গের আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম ব্লকের অন্তর্গত সংকোশ নদীতে এক মৎস্যজীবীর জালে। বিশালাকৃতির এই মাছের খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় মুহূর্তের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে এবং তারপর থেকেই রীতিমতো উৎসাহ বেড়ে যায় কুমারগ্রাম এলাকার বাসিন্দাদের। এই মাছকে নিয়ে উৎসাহ এতটাই বেড়ে যায় যে ওই মাছ কিনতে ভিড় জমান আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার এবং নিম্ন আসামের ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন ? Fish Scales: মাছ খেয়ে ভুলেও ফেলবেন না আঁশ! রাখলেই কেজিতে মিলবে ৪০-৫০ টাকা
বিশালাকৃতির এই বাঘা আড় মাছটিকে কেনার জন্য ব্যবসায়ীদের মধ্যে এতটাই হিড়িক পড়ে যায় যে মাছটির দাম তরতরিয়ে উঠতে শুরু করে। শেষমেষ দর কষাকষির পর ওই মাছের দাম উঠে ৫৭৫০০ টাকা। বিপুল অংকের এই টাকা দিয়ে মাছটি কিনে নিয়ে যান নিম্ন আসামের এক মৎস্য ব্যবসায়ী। মৎস্যজীবীদের থেকে ওই মৎস্য ব্যবসায়ী মাছটি কেনার পর আবার তা থেকে বড় রকমের মুনাফা লাভ করেছেন। জানা গিয়েছে তিনি ১০০০ টাকা কিলো দরে ওই মাছটি বিক্রি করেছেন।
বাঘা আড় মাছ সব জায়গার নদনদীতে সেই ভাবে পাওয়া যায় না বলেই জানা যাচ্ছে। এই মাছ পাওয়া যায় মূলত উত্তরবঙ্গের সেই সকল নদনদীগুলিতে যেগুলি নেমে আসছে সিকিম ও ভুটান থেকে। মূলত বৃষ্টি শুরু হলে ওই সকল মাছ প্রজননের জন্য সমতল এলাকায় নেমে আসে। মৎস্যজীবীদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সচরাচর এত বড় আকৃতির বাঘা আড় মাছ সেই ভাবে নজরে আসে না। জল কম থাকলে কখনো কখনো এই রকম বড় বড় মাছ জালে ধরা পড়ে। তবে এত বড় মাছ ধরতে যথেষ্ট অভিজ্ঞ জেলের প্রয়োজন হয় বলেও তারা জানিয়েছেন।