নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের বিভিন্ন জলাধার থেকে মাঝে মাঝেই বিশালাকৃতির তীর বিভিন্ন ধরনের মাছ মৎস্যজীবীদের জালে উঠতে দেখা যায়। যে সকল বিশালাকৃতির মাছগুলি মৎস্যজীবীদের কাছে লক্ষ্মী লাভের মতোই হয়ে থাকে। কেননা বিশালাকৃতির ওই সকল এক একটি মাছ বিক্রি করেই তারা হাজার হাজার টাকা পেয়ে থাকেন। ঠিক সেই রকমই এবার ছিপে উঠলো একটি বিশালাকৃতির ভেটকি মাছ (Giant Bhetki Fish)।
মঙ্গলবার সকালে বিশালাকৃতির এই ভেটকি মাছটি উঠেছে হাওড়া জেলার ভাগীরথী নদী থেকে। জালে এমন পেল্লাই ভেটকি তুলেছেন হাওড়ার শ্যামপুরের শিবগঞ্জের বাসিন্দা মৎস্যজীবী পরিমল বারুই ও তার দুই বন্ধু। সাধারণত এই ধরনের বিশালাকৃতির মাছ মৎস্যজীবীদের জালেই উঠতে দেখা যায়। কিন্তু পরিমল বাবু ও তার বন্ধুরা এই মাছ তুলেছেন ছিপে অর্থাৎ বঁড়শিতে। মঙ্গলবার সকালে তারা নদীতে ছিপ ফেলেছিলেন আর সেই ছিপেই এমন বিশালাকৃতির ভেটকি মাছটি ওঠে।
ভাগীরথী নদী থেকে বিশালাকৃতির ভেটকি মাছটি ছিপে তোলার পর পরিমল বাবু ও তার বন্ধুরা সেই মাছটি বিক্রি করার জন্য স্থানীয় আড়তে আসেন। সেখানে প্রথম এই মাছের ওজন করা হয়। মাছটির ওজন করতেই দেখা যায়, ওজন ১৯ কেজি ছাড়িয়ে ১৯ কেজি ১৫০ গ্রাম হয়েছে। ১৯ কেজি ওজনের ভেটকি মাছ কে কিনবেন তা নিয়ে রীতিমতো নিজেদের মধ্যে দর হাঁকাহাঁকি শুরু হয়।
আরও পড়ুন ? Dear Lottery Prize: মাছ ব্যবসা অতীত, এবার কাটবে রাজার হালে! ভাগ্য ফেরালো ৩০ টাকার লটারি
এত বড় মাছ কে কিনবেন তা নিয়ে বাজারে জল্পনা শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত দর হাঁকাহাঁকি করে মাছটির দাম প্রতি কিলো ৬৬০ টাকা করে ওঠে। অর্থাৎ সবমিলিয়ে ওই মাছটির দাম পরিমল বাবু ও তার বন্ধুরা পান প্রায় ১২৫৪০ টাকা। একটি মাছ বিক্রি করে এইভাবে হাজার হাজার টাকা পাবেন তা কোনদিনই ভেবে উঠতে পারেননি পরিমল বাবু ও তার বন্ধুরা। স্বাভাবিকভাবেই এমন ঘটনায় তারা খুশিতে ডগমগ।
জানা গিয়েছে, পরিমল বাড়ুই ও তার দুই বন্ধু সমীর এবং বিবেক মধ্যরাতে নৌকায় চড়ে মাছ ধরতে বেরিয়েছিলেন। যখন বড়শিতে এই মাছটি ওঠে তখন মধ্যরাত। এরপর সেই মাছ ধরে তারা প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে থাকা মাছের আড়তে নিয়ে যান ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ। সেখানেই মাছের দরদাম হয় এবং তারা বিপুল টাকায় ওই মাছটি বিক্রি করেন।