প্রেমিককে বিয়ে করতে চেয়ে সোজা বিজ্ঞাপনের হোর্ডিংয়ে উঠে পড়লেন প্রেমিকা

নিজস্ব প্রতিবেদন : বলা হয় সিনেমার কাহিনী বাস্তব জীবনের-ই প্রতিফলন। বাস্তবের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই তৈরি হয় একটি সিনেমা। আবার অনেক ক্ষেত্রে বলা হয় যে সিনেমার থেকে বাস্তব জীবন অনেক বেশি রঙিন। কিন্তু সম্প্রতি সিনেমার কাহিনীরই প্রতিফলন ঘটলো বাস্তব জগতে। মধ্যপ্রদেশের এক কিশোরীর ঘটনা মনে করিয়ে দিল শোলে সিনেমার ‘বীরু’ চরিত্রে অভিনয় করা ধর্মেন্দ্রর কথা।

শোলে সিনেমায় বাসন্তীকে বিয়ে করার বাসনা নিয়ে বীরু (ধর্মেন্দ্র) গ্রামের সবথেকে উঁচু স্থাপত্যে উঠে বসে ছিলেন। অন্যদিকে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে নিজের প্রেমিককে বিয়ে করার দাবি নিয়ে ভান্ডারী সেতুর কাছের পরদেশীপুরায় এক হোডিংয়ের মাথায় উঠে বসলো কিশোরী। কিশোরীর এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়।

কিন্তু এরকম একটি ঘটনা কেন ঘটালো ওই কিশোরী?

জানা গিয়েছে, মেয়েটির মা মেয়েটির জন্য একটি পাত্র দেখেছেন। কিন্তু মায়ের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে একেবারেই নারাজ কিশোরী। সে একটি ছেলেকে ভালোবাসে। নিজের সেই প্রেমিককেই সে বিয়ে করবে বলে ঠিক করেছে। কিন্তু তার মা কিছুতেই তার প্রেমিককে মানতে চাইছে না। ফলে শুরু হয় মন-কষাকষি, অভিমান, পারিবারিক অশান্তি। এরপর বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে উঠেপড়ে হোর্ডিংয়ের মাথায়।

স্থানীয় জনতা কিশোরীকে হোর্ডিংয়ের মাথায় বসে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান পুলিশও। কিন্তু পুলিশের শত অনুরোধেও ওই কিশোরী হোর্ডিং থেকে নেমে আসেন নি। শেষমেষ কিশোরীর প্রেমিককে ডেকে পাঠানো হয়। প্রেমিক এসে বোঝাতেই কিশোরী হোর্ডিং থেকে নিচে নেমে আসেন। এর মধ্যেই কেউ কিশোরীর হোর্ডিংয়ে বসে থাকা অবস্থার ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়ে দেন। আর মুহূর্তের মধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে যায় কিশোরী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ছবি ভাইরাল হয়ে যাওয়ার পর নেটিজেনরা দু’রকম দলে ভাগ হয়ে গিয়েছেন। প্রেমিককে বিয়ে করার দাবিতে এই রকম ঘটনা ঘটানোই অনেকেই কিশোরীর প্রতি ক্ষুব্ধ, আবার অনেকেই কিশোরীর অপরিণত মনকেই এই ঘটনার কারণ হিসেবে দেখেছেন। অনেকে আবার বিষয়টিকে ভালোবাসার জয় হিসেবে দেখছেন।

পরদেশীপুরার পুলিশ অফিসার অশোক পতিদারের কথায়, “মায়ের দেখা পাত্রকে নয়, নিজের পছন্দের পাত্রকেই বিয়ে করার দাবী থেকেই তরুণী এই ঘটনা ঘটিয়েছে।”

তবে যাই হোক বিষয়টি ঠিক সময় জনতার নজরে না এলে, বা ঘটনাস্থলে ঠিক সময় পুলিশ না পৌঁছলে আর প্রেমিককে ডেকে এনে তরুণীকে ঠিক সময় নামানো না হলে সে হোর্ডিং থেকে পড়ে গিয়ে চোট ও পেতে পারত। এছাড়া অন্য কোন বিপদ ও হতে পারত। কিছু জিনিস হয়তো সিনেমাতেই মানায়, বাস্তবে তার অনুকরণ না করাই শ্রেয়।