দুই রাজমিস্ত্রির সঙ্গে পালানোর চেষ্টা নববধূর, পুলিশের জালে বীরভূমের ২

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : সদ্য বিয়ে হয়েছে। বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে পা দিতে না দিতেই নতুন প্রেম নববধূর। শুধু প্রেম নয়, এর পাশাপাশি প্রেমিকের সঙ্গে পালানোর ছক কষে ফেলেন। যদিও এই ছক সফলতা পায়নি। পালানোর সময় পুলিশের জালে পড়েন তারা। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে শোরগোল পড়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরে।

Advertisements

রাজমিস্ত্রি সঙ্গে গৃহবধূদের পালানোর ঘটনায় এর আগে শোরগোল পড়ে ছিল হাওড়া নিশ্চিন্দায়। সেখানকার দুই গৃহবধূ তাদের বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রির প্রেমে পড়ে বাড়ি ছেড়ে চম্পট দেন। বাড়ি ছেড়ে তারা মায়ানগরি মুম্বইয়ে পাড়ি দেওয়ার পর সেখানে দিন কয়েক কাটিয়ে ফের ফিরে আসেন। তবে ফিরে আসার সময় ওই দুই রাজমিস্ত্রি পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। গৃহবধূদের তুলে দেওয়া হয় বাপের বাড়ির হাতে।

Advertisements

জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাওড়ার এই দুই গৃহবধূ তাদের প্রেমিকদের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে নিজেদের ঘরে রয়েছেন। যদিও ওই দুই প্রেমিক অর্থাৎ মুর্শিদাবাদের ওই দুই রাজমিস্ত্রি এখনো তাদের অপেক্ষায় রয়েছেন। এমনকি হন্যে হয়ে বিভিন্ন জায়গায় প্রেমিকাদের খোঁজ চালাতেও দেখা গিয়েছে তাদের। তাদের এই প্রেম যেন সিনেমার প্রেক্ষাপটকেও হার মানিয়েছে। আর এই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটল পশ্চিম মেদিনীপুর দাসপুরে।

Advertisements

জানা গিয়েছে, মাস দেড়েক আগে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের দড়ি অযোধ্যা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তী পাত্রের সঙ্গে বিয়ে হয় ওই একই গ্রামের এক যুবকের। বিয়ের পর বেশ ভালো ভাবেই চলছিল তাদের সংসার। জয়ন্তী শ্বশুরবাড়িতেই থাকতেন। ইতিমধ্যে তার শ্বশুরবাড়ি লাগোয়া এলাকায় রাজ মিস্ত্রীর কাজের জন্য আসেন বীরভূমের দুই যুবক।

বীরভূমের পাইকর থানার অন্তর্গত রুদ্রনগর গ্রামের বাসিন্দা সেখ রাকেশ এবং শেখ মনিরুল পশ্চিম মেদিনীপুরে যান রাজমিস্ত্রির কাজে। প্রতিবেশীদের থেকে শোনা যাচ্ছে, কাজ করতে আসার সুবাদেই জয়ন্তীর সঙ্গে পরিচয় হয় শেখ রাকেশের। তার পরই তারা প্রনয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন এবং সেই সম্পর্ককে পরিণতি দেওয়ার জন্য সবার চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাদের দুজনকে পালানোর জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন শেখ আনারুল। তবে শুক্রবার রাতে পালানোর সময় পুলিশের জালে পড়েন তারা এবং এই ঘটনার পর ওই নব গৃহবধূকে তুলে দেওয়া হয় তার বাপের বাড়ির হাতে।

Advertisements