শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : ফের স্বামী সন্তান ফেলে বেপাত্তা এক গৃহবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির রিষড়ায়। পনেরো বছর একসাথে সংসার করার পর হঠাৎই ১২ জানুয়ারি বাজার করতে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে উধাও বধূ।
ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির রিষড়া মোড় পুকুর আদর্শনগর এলাকাতে। যেখানে ওইদিন সকালে ওই গৃহবধূ সকালে বাজার করতে বেরোলেও আর বাড়ি ফিরে আসেনি। পরিবারের লোকজন বহু খোঁজাখুঁজির পর ও কোনো খোঁজ পাননি ওই গৃহবধূর। গৃহবধূর খোঁজ না পাওয়ায় ইতিমধ্যেই থানায় একটি নিখোঁজ ডায়রি করা হয়েছে গৃহবধূর স্বামী ধর্মেন্দ্র সিং এর তরফে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনো খবর না পাওয়ায় রহস্য আরও গভীর হচ্ছে। তবে এই ঘটনায় পুলিশ প্রাথমিক ভাবে অনুমান করেছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় কারোর সাথে কোনো সম্পর্কের জেরে হয়তো বাড়ি ছেড়ে থাকতে পারেন।
জানা গিয়েছে, বছর পনেরো আগে কোন্নগর চটকল এলাকায় কবিতা কে ভালোবেসেই বিয়ে করেছিলেন ধর্মেন্দ্র। ওই দম্পতির একটি বারো বছরের ছেলে ও ছয় বছরের মেয়ে রয়েছে। ধর্মেন্দ্রর ওই এলাকায় একটি ট্র্যাভেল এজেন্সি রয়েছে। বর্তমানে ধর্মেন্দ্র ভীষণভাবে মানসিক দিক দিয়ে ভেঙে পড়েছেন।
বাড়িতে ছোট বাচ্চা মেয়ে মায়ের খোঁজে দিনরাত কান্নাকাটি করছে। তাই তিনি আকুল হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্ত্রীকে ফিরে আসার আবেদন জানিয়েছেন। দীর্ঘ এত বছরের সম্পর্কে কোনো অশান্তি না হলেও গত কয়েক দিন যাবত কবিতা যে অনেক রাত পর্যন্ত ফোন কারোর সাথে চ্যাট করতে ব্যস্ত থাকত এই কথা জানিয়েছে ধর্মেন্দ্র।
কিন্তু সব ভুলে বাচ্চাদের কথা ভেবে ধর্মেন্দ্রর আবেদন যেন স্ত্রী বাড়িতে ফিরে আসে। পুলিশ ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। স্থানীয়দের থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ধর্মেন্দ্র এলাকায় অত্যন্ত একজন ভদ্রলোক হিসেবেই পরিচিত। লকডাউনের সময় আর্থিক সংকট হওয়ায় হয়তো তার জেরে কবিতা বাড়ি ছেড়ে থাকতে পারে বলে মনে করছেন প্রতিবেশীরা।
প্রসঙ্গক্রমে বলা যায়, কিছুদিন পূর্বেই বালির দুই গৃহবধূ রাজমিস্ত্রির হাত ধরে বাড়ি ছেড়েছিল। যদিও পরবর্তীতে তারা ফের বাড়িতে ফিরে এসেছে। কিন্তু এবার কিছুটা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলো।