ভাগ্য খুললো পড়শি রাজ্যের, মাটির নিচে বিশাল সোনার ভান্ডারের খোঁজ, খননে তৎপরতা

Shyamali Das

Published on:

নিজস্ব প্রতিবেদন : মাটির নিচে থাকা যে কোন খনিজ সম্পদই যে কোন দেশ অথবা রাজ্যের ভাগ্য বদলে দিতে পারে। আবার সেই খনিজ সম্পদ যদি হয়ে থাকে সোনা (Gold) তাহলে তো আর বলার কিছু নেই। মাটির নিচে সোনা লুকিয়ে রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। এই সকল দেশের তালিকায় যেমন রয়েছে উজবেকিস্তান, ডমিনিক্যান রিপাবলিক ইত্যাদি সেই রকমই তুলনামূলক কম হলেও ভারতের বিভিন্ন জায়গায় খনিজ সোনার খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে।

ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সোনার খোঁজ পেতে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার দল প্রতিনিয়ত সার্ভে চালাচ্ছে। আর এই সার্ভে চালানোর সময়ই পশ্চিমবঙ্গের পড়শী রাজ্য বিহারে (Bihar) মাটির নিচে লুকিয়ে থাকা সোনার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। সোনার সেই সন্ধান মিলতেই খনন কার্যের জন্য শুরু হয়েছে তৎপরতা।

বিহারে মাটির নিচে সোনার সন্ধান পাওয়ার পর ইতিমধ্যেই গুপ্তধনের সন্ধানে শুরু হয়েছে ড্রিলিং। মাটির নিচে এমন সোনা থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি তৈরি হয়েছে বিহারের বাঙ্কার কাটোরিয়ায়। অন্যদিকে এই ড্রিলিং করার সময় সেখানে উজ্জ্বল বেশ কিছু পাথর দেখতে পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে আর সেই সকল উজ্জ্বল পাথরের দেখা মিলতেই গুপ্তধন নিয়ে প্রত্যাশা আরও বাড়ছে।

এর আগে বিহারের ভাগলপুরে দুটি বড় বড় কয়লা ভান্ডারের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। এরই মধ্যে বাঙ্কায় গুপ্তধন হিসেবে মাটির নিচে সোনা মজুত থাকার ব্যাপক সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এই সম্ভাবনা তৈরি হওয়ার পরই ড্রিল করে সোনার খোঁজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ড্রিল মেশিনের সাহায্যে ১০০ ফুট খনন কার্য হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে যদিও সোনা থাকে তাহলে তা হাতে আসতে অন্তত ৬৫০ ফুট খনন করতে হবে।

বাঙ্কায় মাটির নিচে সোনা রয়েছে এমন অনুমান করে ব্রিটিশ আমলেও খনন কার্য করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। তবে অত্যাধুনিক মেশিনের অভাবে সেই সময় তা সফল হয়নি। বর্তমানে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া পুনরায় এই জায়গায় সোনা থাকতে পারে এমন অনুমান করে খনন কার্য করছে। এই সকল জায়গায় সোনা ছাড়াও অভ্র সহ বিভিন্ন ধরনের বহু মূল্যবান আকরিক মজুত রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এছাড়াও লাকরামা পঞ্চায়েতের চান্দেপট্টি গ্রামেও খনিজ সোনা থাকতে পারে বলে অনুমান।