লাল্টু ও পার্থ দাস : দিন কয়েক আগেই একটি সারমেয়কে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল বীরভূমের পাঁড়ুই থানার অন্তর্গত একটি এলাকায়। যে ঘটনায় পুলিশ অভিযোগ পেয়ে তৎপরতার সঙ্গে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। তবে সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে ফের আরও একটি লজ্জাজনক ঘটনা ঘটে গেল জেলায়। এবার একটি সারমেয়র উপর অ্যাসিড হামলার ঘটনা ঘটলো।
এমন নৃশংসজনক ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত দুবরাজপুরের ১৬ নং ওয়ার্ডের পাহাড়েশ্বরের কাছে আনন্দকানন এলাকায়। সকালে এমন ঘটনা স্থানীয় এক কলেজ ছাত্রী মঞ্জুষা চক্রবর্তী দেখতে পান। তারপর তার প্রচেষ্টায় সেই সারমেয়টিকে নির্বাকান্ন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রচেষ্টায় সারমেয়টিকে দুবরাজপুর থেকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় সিউড়ির পশু হাসপাতালে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। তবে কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তা এখনো জানা যায়নি।
মঞ্জুষা চক্রবর্তীর কথা অনুযায়ী, সকালে ওই পথ কুকুরটিকে তিনি দেখতে পান এমন মর্মান্তিক অবস্থা। দেখতে পান তার শরীরের একটা অংশ পুড়ে গিয়েছে এবং রক্ত বের হচ্ছে। তার পরেই তিনি অনুমান করেন এই কুকুরটির উপর অ্যাসিড হামলা করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি কুকুরটির চিকিৎসার জন্য সোশ্যাল মিডিয়া থেকে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নম্বর পান এবং তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
খবর পেয়ে ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফ থেকে একজন পশু চিকিৎসককে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। তারপর তাকে একটি ইনজেকশন দেওয়া হয় ব্যথা কমানোর জন্য এবং ততক্ষণে সেখানে পৌঁছে যান ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সদস্যরা। এরপর কুকুরটিকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে সিউড়ি পশু হাসপাতালে নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য।
নির্বাকণ্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার রাজর্ষি ঘোষ জানিয়েছেন, “খবর পেয়ে আমরা দুবরাজপুর ছুটে যায় এবং সেখান থেকে এই সারমেয়টিকে উদ্ধার করে নিয়ে আসি। সারমেয়টি শরীরের এক দিকের ৬০% অংশ পুড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি খারাপ হলেও চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা শুরু করা হয়েছে।” পাশাপাশি তিনি এমন ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে আখ্যা দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, যিনি এমন কর্মকাণ্ড ঘটিয়েছেন তার বিষয়ে জানতে পারলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।