Dear Lottery: লেবার থেকে কোটিপতি, বীরভূমের সাইদুলের ভাগ্য ফেরালো ৩০ টাকার লটারি

Madhab Das

Updated on:

Advertisements

বীরভূম : কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই দেখা যায়। তবে সবার সেই স্বপ্ন পূরণ হয় না। ইদানিংকালে অবশ্য লটারিতে পুরস্কার জিতে প্রতিদিনই রাজ্যের কোথাও না কোথাও, কাউকে না কাউকে কোটিপতি হতে দেখা যাচ্ছে। ঠিক সেই রকমই ৩০ টাকার লটারিতে ভাগ্য ফিরলো বীরভূমের এক লেবারের। ডিয়ার লটারি (Dear Lottery) ওই দিনমজুরের ভাগ্য ফিরিয়েছে।

Advertisements

আর্থিক দিক দিয়ে অবস্থা অত্যন্ত খারাপ হওয়ার কারণে সাইদুল শেখ নামে ওই যুবক বীরভূমের মাড়গ্রাম থানার শ্রীকৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা হলেও ব্যারাকপুরে দিনমজুরের কাজ করেন। মাঝে মাঝে বাড়ি আসেন। আর দিনমজুরের কাজের পাশাপাশি তারও স্বপ্ন বড়লোক হওয়ার। সেই মত তিনি মাঝে মাঝেই লটারির টিকিট কাটেন। তবে কখনোই ৬০০ টাকা বা ১২০০ টাকার বেশি পুরস্কার পাননি। এবারই তিনি মোটা মাপের পুরস্কার পেলেন, তাও আবার প্রথম পুরস্কার।

Advertisements

সাইদুল শেখ এক ঠিকাদারের অধীনে ব্যারাকপুরে রেলে দিনমজুরের কাজ করেন। সেখানেই কাজ করা অবস্থায় গত মঙ্গলবার তিনি ৩০ টাকার লটারির টিকিট কেটেছিলেন। কিন্তু কাজের চাপে ঐদিন টিকিটের খেলা হলেও তার পক্ষে টিকিট মেলানো সম্ভব হয়নি। এরপর বুধবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং বাড়ি ফিরে এসে টিকিটের নম্বর মেলাতেই দেখতে পান তাতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে এক কোটি টাকা লেগেছে।

Advertisements

আরও পড়ুন: Women Helpline Digha: একটি ফোন নম্বর, দিঘা-মন্দরমনিতে অনেক কিছু সাহায্য করতে পারে মহিলাদের

৩০ টাকার টিকিটে ১ কোটি টাকা লাগার খবর জানতে পেরেই তিনি তড়িঘড়ি মাড়গ্রাম পুলিশ স্টেশনে পৌঁছান। নিরাপত্তার কারণে তিনি পুলিশ স্টেশনে পৌঁছাতেই পুলিশের তরফ থেকে তাকে সমস্ত রকম সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়। কিভাবে ওই টিকিটে জেতা টাকা পাবেন সেই সমস্ত বন্দোবস্ত পুলিশের তরফ থেকে করে দেওয়া হয়। টিকিটে পাওয়া পুরস্কারের টাকা পাওয়ার প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি ওই টাকা সাইদুলের অ্যাকাউন্টে এসে পৌঁছাবে বলেই জানা যাচ্ছে।

লটারিতে কোটি টাকা পেয়ে রাতারাতি এত টাকার মালিক হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই খুশি সাইদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। এই বিপুল অংকের টাকায় তাদের এখন স্বপ্ন জমি জমা, বাড়ি ইত্যাদি করার। ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু টাকা পয়সা সঞ্চয় করে রাখা ইত্যাদি। কেননা এসব তাদের কিছুই নেই বলে জানিয়েছেন সাইদুল ও তার পরিবারের সদস্যরা। স্বাভাবিকভাবেই এই টাকায় তারা তাদের সমস্ত স্বপ্ন পূরণ করতে চান।

Advertisements