নিজস্ব প্রতিবেদন : শুক্রবার রাতে বীরভূমের মুরারই ২ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত পাইকর থানার কলহপুর গ্রামে এক ব্যক্তির গলার নলি কেটে খুন করে ফেরার যুবক। ঘটনার মূলে জড়িয়ে রয়েছেন এক মহিলা। মৃত ব্যক্তির নাম জাকির হোসেন শেখ (৪৫), অন্যদিকে যার বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে তিনি হলেন বাবু শেখ (২৩)।
জাকির হোসেন শেখের ভাই জানিয়েছেন, “গতকাল রাতে আমাকে খবর দেয় যে আমার দাদার গলার নলি কেটে দেওয়া হয়েছে। আমি তাড়াতাড়ি ঘটনাস্থলে এসে দেখি নলি কাটা অবস্থায় দাদা ছটফট করছেন। এরপর তাড়াতাড়ি গাড়ি লেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে আমরা রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠায়। যাওয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়।”
কিন্তু এমন ঘটনার পিছনে কী কারণ থাকতে পারে? কারণ সম্পর্কে একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির শেখ এলাকায় ঠিকাদারের কাজ করতেন। আর তার তত্ত্বাবধানে কাজ করতেন বাবু শেখ। জাকির শেখ অবিবাহিত ছিলেন এবং বাড়িতে একাই থাকতেন। আর জাকির শেখ একাধিকবার বাবু শেখের স্ত্রী কে ধর্ষণ করেছিলেন। এ নিয়ে দম্পতির মধ্যে হামেশাই দ্বন্দ্ব লেগে থাকত। কিন্তু বারবার প্রতিবাদ করা সত্ত্বেও কোনো সুরাহা না হওয়ায় এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বাবু শেখ।
অন্যদিকে আরেকটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে, বাবু শেখের স্ত্রীর সাথে অবিবাহিত জাকির শেখের সাথে অবিবাহিত সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের জেরে বাবু শেখ এবং তার স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চরমে ওঠে। গত সপ্তাহে বাবু শেখের স্ত্রী জাকির শেখের কাছে চলে আসে। এর পরেই গতকাল এমন নৃশংস কান্ড ঘটান বাবু শেখ। যদিও জাকির শেখের সাথে সম্পর্কের কথা অস্বীকার করেছেন বাবু শেখের স্ত্রী।
অন্যদিকে ঘটনার সময় জাকির শেখের বাড়িতে কোন এক মহিলার উপস্থিতি ছিল তা নিশ্চিত করেছেন মৃত জাকির শেখের ভাই। তাঁর আরও দাবি, “ওই ছেলেটা (বাবু শেখ) ওই মেয়ে ছেলেটার জন্যই গতকাল এসেছিল। আর জাকিরকে মারার জন্য চাকু নিয়েও এসেছিল।”
যদিও এই ঘটনায় কি রহস্য লুকিয়ে রয়েছে তা উদঘাটন করতে ইতিমধ্যেই পাইকর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বাবু শেখ ফেরার হলেও পুলিশ আটক করেছে ঘটনায় নাম উঠে আসা আদিবাসী মহিলাকে।