নিজস্ব প্রতিবেদন : যখন কোন কিছুর প্রয়োজন অনুভব হয়, তখনই নতুন কিছু আবিষ্কার হয়। তাই তো বলা হয় ‘Necessity is the mother of invention’ অর্থাৎ প্রয়োজনীয়তাই হলো আবিষ্কারের জননী। আর সেই কারণে করোনার এই সংকটকালে নিত্যনতুন কত কিছু জিনিস আবিষ্কার হচ্ছে প্রয়োজনের তাগিদেই। কিছুদিন আগে একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেচাকেনা করবার জন্য একজন দোকানে একটি অভিনব পন্থা বেছে নিয়েছেন। তিনি প্রযুক্তির প্রয়োগ করে এমনভাবে বেচাকেনা করছিলেন যাতে স্পর্শ না করেই জিনিসপত্র দেওয়া-নেওয়া করা যায়। সম্প্রতি ভাইরাল হওয়া ভিডিওটাও কিছুটা এইরকমই।
করোনার আবহে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কিভাবে বেচাকেনা করা যায় সেই নিয়ে ভাবতে ভাবতেই বিক্রেতারা নিত্য নতুন পদ্ধতির উদ্ভাবন করছেন। যেসকল পদ্ধতি উদ্ভাবন করতে গেলে ইঞ্জিনিয়ারের প্রয়োজন সেই সকল অবাক করা পদ্ধতিই মানুষ বুদ্ধি খাটিয়ে বার করছেন। তাইতো গ্রাম্য এলাকায় একটি দুধ বিক্রেতা উদ্ভাবনী শক্তির প্রয়োগ করে দুধ বিক্রি করছেন যা দেখে স্বয়ং মাহিন্দ্রা কোম্পানির আনন্দ মাহিন্দ্রা পর্যন্ত মুগ্ধ হয়ে গেছেন। তিনি নিজে সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপলোড করে ওই দুধ বিক্রেতার বুদ্ধির তারিফ করেছেন এবং নেটিজেনদের থেকে প্রশ্ন করেছেন ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া কেউ কী বলতে পারবেন কী উপায়ে এটি সম্ভবপর হয়েছে?
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে একজন দুধ বিক্রেতা পাইপ ও ফানেল এবং ট্রাক্টরের সাহায্যে এমন ভাবে দুধ দোয়াচ্ছেন যে স্পর্শ দোষ এড়িয়েই দুধ দোয়ানো সম্ভবপর হচ্ছে। এই পদ্ধতির জন্য করোনা পরিস্থিতিতেও ছোঁয়া এড়িয়ে খুব সহজেই দুধ বিক্রেতা নিজের ব্যবসাকে বাঁচিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছেন। ভিডিওটি দেখলে তাজ্জব হয়ে যেতে হয়।
আনন্দ মহিন্দ্রা এই ভিডিওটি টুইট করার সময় ক্যাপশনে লেখেন, “আমাকে রোজই প্রচুর পরিমাণে ভিডিও পাঠানো হয়। কীভাবে আমাদের ট্রাক্টরগুলি ভারতের গ্রাম্য এলাকায় অনেক কাজ করে থাকে, সেই সংক্রান্ত ভিডিও পাঠানো হয় আমাকে। আর তার মধ্যে এটিও একটি যা আমার কাছে বেশ নতুন বলে মনে হয়েছে।”
People keep sending me clips of how our tractors are used as ‘multi-tasking’ beasts of burden in rural areas. This one was a new one for me. Can the non-engineers amongst you figure out what essentially they have rigged out here? pic.twitter.com/OcKRYWXDyK
— anand mahindra (@anandmahindra) August 5, 2020
এরপরেই তিনি নেটাগরিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দেন, “এখানে ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া অন্য কেউ বলতে পারবেন কীভাবে অভিনব প্রযুক্তিতে দুধ দোয়ানোর কাজ করেছেন?”
অর্থাৎ ইঞ্জিনিয়ার ছাড়া সাধারণ মানুষ যা চোখে দেখে বলতে পারবে না সেই কাজই একজন দুধ বিক্রেতা করে দেখালেন প্রয়োজনের তাগিদে।