নিজস্ব প্রতিবেদন : ম্যাজিক ভ্যান চালিয়েই জীবনযাপন। দিনের রোজগারের উপর কোন ভাবে সংসার চলে যায়। যিনি কোনদিন লাখ টাকা সঞ্চয় করার কথা ভেবে উঠতে পারেননি তিনি আজ কোটিপতি। রাতারাতি তার এই ভাগ্য বদল করেছে একটি লটারির টিকিট।
মালদহের মানিকচক থানার অন্তর্গত নুরপুর গ্রামের বছর পঞ্চাশের রমজান আলী নামে ম্যাজিক ভ্যান চালক বৃহস্পতিবার দুপুরে বকসিশের টাকা থেকে একটি লটারির টিকিট কেটেছিলেন। সেই টিকিটের খেলা ছিল বিকাল বেলায়। আর সেই খেলার ফলাফল সামনে আসতেই রাতে জানা যায় তিনি প্রথম পুরস্কার হিসাবে কোটি টাকা জিতেছেন। ঘটনার কথা জানতে পেরেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রমজান মালদহ মানিকচক রাজ্য সড়কে ম্যাজিক ভ্যান চালিয়ে সংসার চালান। দীর্ঘদিন আগে গঙ্গার আগ্রাসী ভাঙ্গনে তার ভিটেবাড়ি তলিয়ে গেছে। যার পর থেকেই তিনি পরিবারের সদস্যদের নিয়ে বাঁধের ধারে একটি ঝুপড়ি তৈরি করে বসবাস করছেন। তবে এই পুরস্কার এবার তার জীবন বদলে দিলো বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।
বৃহস্পতিবার রাতে টিকিটে প্রথম পুরস্কার জেতার খবর পেয়ে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা যতটা আনন্দিত হয়েছিলেন, পাশাপাশি ততটাই ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে পড়েন। তাদের আশঙ্কা দুষ্কৃতীরা এই লটারি টিকিট হাতিয়ে নিতে পারে। আর এই সকল আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই মানিকচক থানার ওসি কুন্তলকান্তি দাসের নির্দেশে তার বাড়িতে পুলিশি পাহারার বন্দোবস্ত করা হয়।
রমজান আলী জানিয়েছেন, “বৃহস্পতিবার গাড়ি চালানোর সুবাদে ১৫০ টাকা বকশিস পেয়েছিলাম। আর সেই টাকা থেকেই নূরপুর স্ট্যান্ডে লটারির টিকিট কিনি। রাতে খেলা হওয়ার পর জানতে পারি প্রথম পুরস্কার জিতেছি। এইভাবে এই টিকিট আমার ভাগ্য বদল করে দেবে ভাবতে পারিনি।”
আর রাতারাতি এই ভাগ্য বদলের পর স্বাভাবিকভাবেই রমজান আলী এবং তার পরিবারের সদস্যরা খুশি হয়েছেন। পাশাপাশি তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর। তারা ১০ লক্ষ টাকা অনুদান স্বরূপ দিতে চান এলাকায় একটি স্কুল তৈরি করার জন্য।