নিজস্ব প্রতিবেদন : দেবী সতীর দেহের ৫১ খন্ড যে সকল জায়গায় পড়ে সেখানেই তৈরি হয় এক একটি সতীপীঠ। ভারত ছাড়াও সতীপীঠ রয়েছে শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ এবং পাকিস্তানে। এই সতীপিঠের তালিকায় যেমন রয়েছে হিঙ্গুলা, ঠিক সেই রকমই আবার রয়েছে কঙ্কালীতলা। হিঙ্গুলা অবস্থিত পাকিস্তানে, অন্যদিকে কঙ্কালীতলা ভারতে। বিশ্বের একাধিক দেশে এইভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ৫১ সতীপীঠ দর্শন এবার সম্ভব এক তীর্থে।
এক তীর্থে যাতে ৫১ সতীপীঠ দর্শন সম্ভব পর হয় তার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে একটি নতুন মন্দির তৈরি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন এই মন্দির তৈরি করতে খরচ হবে আনুমানিক ২ কোটি টাকা। মন্দির তৈরীর বিষয়ে পরিকল্পনা অনেকদিন ধরেই গ্রহণ করা হয়েছিল, তবে অপেক্ষা ছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ দপ্তরের অনুমতির।
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় পরিবেশ দপ্তরের তরফ থেকে এমন একটি মন্দির তৈরি করার জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আর সেই অনুমোদন পাওয়ার পর নতুন এই মন্দির তৈরীর ক্ষেত্রে কোনো রকম বাধা থাকছে না। এখন প্রশ্ন হল এমন ৫১ সতীপীঠ নিয়ে তৈরি হওয়া মন্দির কোন জেলায় বা কোথায় হতে চলেছে?
৫১ সতীপিঠের মধ্যে পাঁচ সতীপীঠ রয়েছে বীরভূমে। নতুন যে মন্দির তৈরি হতে চলেছে সেটিও তৈরি হবে বীরভূমে। এমন মন্দির তৈরি হবে তারাপীঠে। এখানে ৫১ সতীপিঠের বিভিন্ন মন্দিরের আদলে ছোট ছোট করে এক একটি মন্দির গড়ে তোলা হবে। তারাপীঠ ঢোকার মুখে ১৪৬৮২ হেক্টর জমিতে এমন মন্দির তৈরি হবে।
এমন মন্দির তৈরীর ভাবনা এলো কিভাবে? জানা যাচ্ছে ২০১৭ সালের জানুয়ারি মাসে এইরকম একটি মন্দির তৈরি করার ভাবনা আসে। তারপর সেই প্রস্তাব দেওয়া হয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং এমন একটি মন্দির তৈরি করার জন্য অনুমোদন দেন।
নতুন এই মন্দিরটি তৈরি হবে ১৪ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে মুনসুবা মোড় হয়ে তারাপীঠ ঢোকার মুখে যে দ্বিতীয় গেট রয়েছে সেখানে। এমন প্রকল্প বাস্তবায়িত করার জন্য খরুন এবং বরশাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উদয়পুর ও কৌড়া মোড়ের অনেকটা অংশ প্রয়োজন হচ্ছে।