লাল্টু : শ্মশান যাত্রা তাও আবার মাইক বক্স বাজিয়ে, পাশাপাশি ফাটানো হলো বাজিও! কারণ পরিবারের দাবি, মৃতার বয়স ১২০ বছর। তাই প্রয়াণ দুঃখের নয়, আনন্দের।
নিয়মানুসারে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কেউ মারা যাওয়ার পর তাকে অন্তিম ক্রিয়া করতে নিয়ে যাওয়ার সময় খোল করতাল সহকারে। আর সেই রীতি মানা হয়ে থাকে বর্তমান আধুনিক যুগেও। তবে সেই রীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে মাইক বক্স বাজিয়ে অন্তিম ক্রিয়া করতে নিয়ে যাওয়ার মতো ঘটনা সামনে এলো, পাশাপাশি সামনে এলো বাজি ফাটানোর ঘটনাও।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের দুবরাজপুর ব্লকের দুবরাজপুর পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডে। ওই এলাকার ১২০ বছর (পরিবারের দাবি) বয়সী ঝরুবালা দাসী নামে এক বৃদ্ধা মারা গেলে তাকে শব দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শববাহী গাড়ির সামনে খোল করতালের পাশাপাশি রয়েছে মাইক বক্স। এমনকি যাওয়ার সময় রীতিমতো নাচতেও দেখা যায় ওই শববাহী গাড়ি সাথে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের। ফাটানো হলো বাজি।
জানা গিয়েছে, ওই বৃদ্ধা গতরাতে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার ৯০ জন নাতি নাতনি। তাঁকে দাহ করার জন্য নিয়ে যাওয়া হয় বক্রেশ্বর শ্মশান।
সে না হয় হলো, কিন্তু কেন এমন মাইক বক্স বাজিয়ে, বাজি ফাটিয়ে শব দাহ করতে নিয়ে যাওয়া হলো! সে নিয়ে ওই বৃদ্ধের এক ছেলে মাদল দাস জানান, “উনার সব মিলে ৯০ জন নাতি নাতনি রয়েছে। তাই ওই নাতিদের একটা আনন্দ তো আছে। গতকাল রাতে আমার মা মারা যাওয়ার পর ওরাই সিদ্ধান্ত নেয় বক্স বাজিয়ে অন্তিম ক্রিয়া সম্পূর্ন করার। এরপর তারা গাড়ি ও মাইক বক্স বাজিয়ে বক্রেশ্বর যায় শেষ কাজ সম্পূর্ণ করতে।”