বোলপুরে চারতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ চিকিৎসাধীন রোগীর

প্রসূন দাস : চিকিৎসাধীন অবস্থায় বোলপুরে চারতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিলো এক রোগী। ঘটনার পর ওই রোগীর মৃত্যু হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাসপাতাল চত্বরে চাঞ্চল্য তৈরি হওয়ার পাশাপাশি প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে।

জানা গিয়েছে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারতলা বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দিয়ে মৃত ওই রোগীর নাম জগাই মাঝি। তিনি বীরভূমের নানুর থানা এলাকার বঙ্গছত্র গ্রামের বাসিন্দা। মৃত ওই ব্যক্তি পেশায় একজন ক্ষেতমজুর ছিলেন। গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তারপর তাকে পরিবারের লোকজন বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে। এরপর রাতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে জানলা থেকে নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হন।

ঘটনার পর মৃত ওই ব্যক্তির স্ত্রী মুংরি মাঝি জানিয়েছেন, “আমি হাসপাতালের ওই রুমেই ছিলাম। তবে ঘটনার সময় আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আর সেই সময় এই কাণ্ড ঘটে যায়। কি কারণে এমনটা হল তা বুঝতে পারছি না।”

ঘটনার পর বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট ডাঃ বুদ্ধদেব মুর্মু জানিয়েছেন, “রোগীর পরিবারের লোকজন রোগীর কাছে উপস্থিত থাকা সত্বেও কিভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারা যাচ্ছে না। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি।” পাশাপাশি তিনি এটাও জানান, “বিষ খাওয়া রোগীদের ক্ষেত্রে এমন ঘটনা ঘটে। তবে এখনই কিছু বলা সম্ভব নয়, আমরা এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছি। তদন্তের পর বিষয়টি জানাতে পারবো।”

[aaroporuntag]
প্রসঙ্গত, বোলপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এমন উঁচু বিল্ডিং থেকে ঝাঁপ দেওয়ার মতো ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগে কয়েক মাস আগেই আরও একজন রোগীকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা চোখে পড়েছিল। যদিও সেই যাত্রায় হাসপাতালে নিরাপত্তারক্ষী এবং অন্যান্যদের সহযোগিতায় ওই ব্যক্তিকে বাঁচানো সম্ভব হয়। তবে বারংবার এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বাভাবিকভাবেই হাসপাতালে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে সুপার জানান, “নিরাপত্তা আগের তুলনায় অনেকটা বাড়ানো হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেও কি করে এমনটা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”