নিজস্ব প্রতিবেদন : মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকারের একদিন পর রিপোর্ট এলো মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন। ইতিমধ্যেই ওই মৃত ব্যক্তির দেহ সৎকার হয়ে গেছে এবং দেহ সৎকারে অংশগ্রহণ করেছিলেন এলাকার বেশ কিছু বাসিন্দা ও আত্মীয়-স্বজন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের সিউড়ি থানার কড়িধ্যা গ্রামের সেন পাড়ায়। রিপোর্ট জানাজানি হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে গ্রামে। মৃত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা আত্মীয়-পরিজনের তালিকা তৈরি করে কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বীরভূম জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৪ই আগস্ট মঙ্গলবার ওই গ্রামের ভুবন সেন নামে ৪১ বছর বয়সী এক ব্যক্তি মারা যান। তার পরেই তার সৎকার করা হয়। তবে বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তি যে করোনা পজিটিভ ছিলেন তার রিপোর্ট আসে। রিপোর্ট আসার পর থেকেই এলাকায় আতঙ্কের ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীদের কথা অনুযায়ী দিন দশেক ধরে জ্বরে ভুগছিলেন ছিলেন মৃত ওই ব্যক্তি। গত ৩১শে জুলাই মৃত ব্যক্তিকে সিউড়ি হাসপাতালের এক চিকিৎসককে প্রাইভেট চেম্বারে দেখানো হয়। ওই চিকিৎসক তাকে করোনা পরীক্ষা করার পরামর্শ দেন। সেই মতো তিনি আগস্টের ৩ তারিখ সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে লালারসের নমুনা দিয়ে আসেন। তবে তার পরেই মঙ্গলবার থেকে ওই ব্যক্তি বাড়িতেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। বাড়িতে থাকাকালীন শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে যান। হাসপাতালে আসার পর চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
আত্মীয় পরিজনদের দাবি, মৃতদেহ ময়নাতদন্ত না করেই দেহ ছেড়ে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ প্রভাব খাটিয়ে মৃতদেহ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত না করিয়েই নিয়ে চলে আসা হয়েছিল। মৃত ওই ব্যক্তির মুখাগ্নি করার সময় গ্রামের অজস্র মানুষ উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে গ্রাম্য সূত্রে। মুখাগ্নির পর ওই ব্যক্তির দেহ সৎকার করা হয় স্থানীয় ভুঁইফোড়তলা শ্মশানে। সেখানেও ২৭ জন মত আত্মীয় স্বজন এবং প্রতিবেশী উপস্থিত ছিলেন। আর এসবের পরেই এলাকায় শুরু হয়েছে করোনাতঙ্ক।
কড়িধ্যা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান উজ্জ্বল সিং জানান, “আজ সকালে আমাকে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে মৃত ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত ছিলেন বলে। এরপর আমরা জানতে পেরেছি ওই সরকারি অংশগ্রহণকারী ২৭ জনকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করেছি। পাশাপাশি তাদের কোভিড টেস্টের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এছাড়াও গোটা এলাকা স্যানিটাইজ করার বন্দোবস্ত করছি।”