নিজস্ব প্রতিবেদন : রাজ্যের পাশাপাশি বীরভূম জেলাতে উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। তবে জেলায় গত সপ্তাহের আগে পর্যন্ত কোনরকম চিকিৎসক অথবা পুলিশকর্মীর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর ছিল না। জেলায় প্রথম একজন চিকিৎসক হিসেবে মহঃবাজার ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হন। এরপর নতুন করে আরও এক চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জেলায়। পাশাপাশি করোনা আক্রান্ত হয়েছেন জেলার এক পুলিশ আধিকারিকও।
রবিবার সকালে খবর পাওয়া যায় বীরভূমের নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের লোহাপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে একজন চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই করোনাতঙ্ক শুরু হয় ওই হাসপাতালে। আপাতত হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে সূত্রের খবর। আর হাসপাতাল বন্ধ হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন স্থানীয় রোগীরা। চিকিৎসা না পেয়ে তাদের বাড়ি ফিরে যেতে হচ্ছে। অন্যদিকে ওই চিকিৎসক করোনা আক্রান্ত হওয়ার পর হাসপাতালকে জীবাণুমুক্ত করতে প্রশাসনিকভাবে শুরু হয়েছে স্যানিটাইজ করা। ওই হাসপাতালে চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৩০ জন রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যাদের ইতিমধ্যেই হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে এবং তাদের লালারস পরীক্ষা করা হবে বলেও জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে বীরভূম জেলায় প্রথম কোন পুলিশকর্মী করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটে শনিবার। বীরভূমের সিউড়ি থানার একজন আধিকারিক শনিবার করোনা আক্রান্ত হন। এর পরেই প্রশাসনিকভাবে ওই পুলিশ আধিকারিকের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের পরীক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
রাজ্যের বিভিন্ন অংশে এর আগে প্রথম সারির করোনা যোদ্ধাদের করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিললেও বীরভূম জেলায় গত দু’সপ্তাহ ধরে পরপর তিন জন প্রথম সারির করোনা যোদ্ধা আক্রান্ত হওয়ায় রীতিমত আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে জেলায়। অন্যদিকে জেলায় বর্তমানে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গেছে ৫৮৯ এ। যদিও এই যাবত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪২১ জন। আর জেলায় করোনাই প্রাণ হারিয়েছেন ৬ জন। বর্তমানে বীরভূমে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হল ১৬২।