Drinking Water in Restaurant: রেস্তোরাঁয় পানীয় জলের নামে টাকা নেওয়ার দিন শেষ! মোটা অঙ্কের জরিমানা করলো কনজিউমার আদালত

নিজস্ব প্রতিবেদন : দিন যত এগোচ্ছে ততই রেস্তোরাঁয় খাবার খাওয়ার হিড়িক বাড়ছে দেশের মানুষদের মধ্যে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বহু রেস্তোরাঁ মালিকরা নানান ভাবে বাড়তি টাকা রোজগারের ফন্দি আটছেন। এসবের মধ্যে রয়েছে পানীয় জলের নামে আলাদা করে টাকা নেওয়া। তবে এবার কনজিউমার আদালত জানিয়ে দিল, রেস্তোরাঁয় বিনামূল্যে পানীয় জলের (Drinking Water in Restaurant) বন্দোবস্ত রাখতে হবে।

কোন রেস্তোরাঁয় যদি খাবার খেতে যাবার সময় ক্রেতারা প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার নেন তার জন্য আলাদা করে চার্জ নেওয়া যেতেই পারে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। কিন্তু এর পাশাপাশি বিনামূল্যে পানীয় জলের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। গ্রাহকরা চাইলে প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার নিতে পারেন, আবার চাইলে বিনামূল্যের পানীয় জল চাইতে পারেন রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময়।

সম্প্রতি একটি রেস্তোরাঁয় এক গ্রাহক খেতে গিয়েছিলেন এবং তিনি প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটারের পরিবর্তে অন্য পানীয় জল চেয়েছিলেন। কিন্তু ওই রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ আলাদা করে পানীয় জল দিতে অস্বীকার করেন। ওই গ্রাহককে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ প্যাকেজড ড্রিংকিং ওয়াটার কিনতে বাধ্য করেন। আর তার জন্য চার্জ করা হয় ৫০ টাকা। এমন ঘটনাটি ঘটেছে হায়দ্রাবাদের সেকেন্দ্রাবাদের সিবিআই কলোনির আইটিএলইউ রেস্তোরাঁয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তি হায়দ্রাবাদের একটি জেলা কনজিউমার আদালতে মামলা করেন। যে মামলায় রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় এবং সেই টাকা ৪৫ দিনের মধ্যে গ্রাহককে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

আরও পড়ুন 👉 Restaurant Food Cost: সস্তার দিন শেষ! এবার রেস্তোরাঁয় বসে খান বা ফুড ডেলিভারি নেন! পকেট থেকে খসবে বাড়তি টাকা

মামলাকারী ওই ব্যক্তি দাবি করেন, প্লাস্টিকে তার অ্যালার্জি থাকার কারণে তিনি আলাদা করে পানীয় জল চেয়েছিলেন। কিন্তু রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ আলাদা করে পানীয় জল দিতে অস্বীকার করায় তিনি 500 ml প্যাকেজড ড্রিংকিং কেনেন ৫০ টাকায়। তবে এখানেই শেষ নয় এর পাশাপাশি জলের জন্যও তার কাছে জিএসটি নেওয়া হয়। দুটি খাবার এবং জল মিলিয়ে মোট ৬৩০ টাকা বিল হলে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ সবকিছুর উপর ৩১.৫০ টাকা সার্ভিস চার্জ ধার্য করেন। এছাড়াও জিএসটি মিলিয়ে মোট বিল হয় ৬৯৫ টাকা।

এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কনজিউমার আদালতের তরফ থেকে চূড়ান্ত মামলায় জানিয়ে যাওয়া হয়, ওই গ্রাহককে জিএসটি এবং সার্ভিস চার্জ ফেরত দিতে হবে। এছাড়াও ২২ মার্চের পর ৪৫ দিনের মধ্যে ৫০০০ টাকা জরিমানা দিতে হবে। এছাড়াও মামলার খরচ হিসাবে ১০০০ টাকা দিতে হবে। সব মিলিয়ে ৬০৩৩ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলে রাখা ভালো, নতুন নিয়ম অনুসারে রেস্তোরাঁ কর্তৃপক্ষ সার্ভিস চার্জ আদায় করতে পারেনা।