Breakfast for School Students: শুধু মিড ডে মিল নয়, এবার ব্রেকফাস্ট! রাজ্যে বদলে গেল পড়ুয়াদের খাবারের চার্ট

Madhab Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশের প্রত্যেকটি খুদে পড়ুয়াদের যাতে খালি পেটে পড়াশোনা করতে না হয় তার জন্য চালু করা হয়েছে মিড ডে মিল (Mid Day Meal)। যে মিড ডে মিল ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন পড়ুয়াদের পেট ভরে মধ্যাহ্নভোজন করানো হয়। তবে এখন পশ্চিমবঙ্গের অধিকাংশ স্কুলের সময়সূচী বদলে যাওয়ায় পড়ুয়াদের পেট ভরা নিয়ে সমস্যা হচ্ছে।

Advertisements

প্রচন্ড গরমের কারণে গত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল সকালে শুরু হচ্ছে এবং সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ ছুটি হয়ে যাচ্ছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনে সকাল সাড়ে ১০টার পর পড়ুয়াদের দেওয়া হচ্ছে মিড ডে মিলের খাবার। কিন্তু সকাল থেকে অনেক পড়ুয়াকেই দেখা যাচ্ছে খালি পেটে ক্লাসে আসতে। এই পরিস্থিতির দিকে তাকিয়েই মিড ডে মিলের পাশাপাশি ব্রেকফাস্টের (Breakfast for School Students) ব্যবস্থা করা হয়েছে।

Advertisements

সকালবেলায় খালি পেটে যাতে পড়ুয়াদের স্কুলে এসে পড়াশোনা করতে না হয় তার জন্য ব্রেকফাস্টে দেওয়া হচ্ছে পুষ্টিগুণে ভরা সেদ্ধ ছোলা। স্কুলে আসার সঙ্গে সঙ্গেই পড়ুয়াদের হাতে আগে সেদ্ধ অথবা জলে ভেজানো ছোলা তুলে দেওয়া হচ্ছে আর তারপর তাদের পাঠানো হচ্ছে ক্লাসে ক্লাস করার জন্য। এতে একদিকে যেমন পড়ুয়াদের পেট ভরছে ঠিক সেই রকমই আবার ছোলার যে পুষ্টিগুণ রয়েছে তাতে পড়ুয়াদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা অনেকটাই মেটাচ্ছে।

Advertisements

আরও পড়ুন ? Bank Loan: জুন থেকেই পকেট থেকে খসবে বেশি টাকা! যদি এই ৩ ব্যাঙ্কে থাকে লোন

স্কুলে এমন আয়োজন অবশ্য সরকারের তরফ থেকে দেওয়া অর্থ সাহায্যে নয়। পড়ুয়াদের কথা মাথায় রেখে এমন অভিনব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে চাঁদা তুলে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা পড়ুয়াদের এমন পরিস্থিতি দেখে নিজেরাই সিদ্ধান্ত নেন স্কুলে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ব্রেকফাস্টে সেদ্ধ অথবা জলে ভেজানো ছোলা দেওয়ার। তারপর তারা নিজেরাই ঠিক করেন নিজেদের বেতনের টাকা থেকে চাঁদা দিয়ে এমন ব্যবস্থা করবেন। আর সেই সিদ্ধান্ত মতই কাজ।

তবে এমন ব্যবস্থা রাজ্যের প্রত্যেক স্কুলে করা হয়েছে তা নয়। এমন ব্যবস্থা করা হয়েছে পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত নাদন ঘাট রামপুরিয়া হাই স্কুলে। এই স্কুলে পড়ুয়া সংখ্যা যে খুব কম তা নয়। স্কুলটিতে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত প্রায় ১১০০ ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। আর এই প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্যই এমন ব্যবস্থা করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমনকি তাদের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যতদিন মর্নিং স্কুল চলবে ততদিন এমন ব্যবস্থা থাকবে।

Advertisements