নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতীয় রেল (Indian Railways) যেমন ভারতীয় নাগরিকদের কাছে গণপরিবহনের লাইফলাইন, ঠিক সেই রকমই এই লাইফলাইনে কোনরকম দুর্ঘটনা ঘটলে বহু মানুষকে প্রাণ বিসর্জন দিতে হয়। ঠিক সেই রকমই একটি দুর্ঘটনা ঘটতে ঘটতে রক্ষা পেল। রক্ষা পেল কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস (Kanchanjungha Express)। ক্লাস ফাইভের এক ছাত্রের উপস্থিত বুদ্ধিতে দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে এই ট্রেনটি। দুর্ঘটনা ঘটলে আশঙ্কায় পড়তে হতো ওই ট্রেনটির শত শত যাত্রীদের।
দুর্ঘটনার কবল থেকে এইভাবে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে রক্ষা করার ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা। ঘটনাটি ঘটে মালদা জেলার ভালুকা রেল স্টেশনের কাছে। শিয়ালদা শিলচর আপ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসকে এইভাবে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা করা ওই ছাত্রের নাম মুরসালিম। মাত্র ১১ বছর বয়সী ওই ছাত্র যেভাবে উপস্থিত বুদ্ধি দেখিয়েছে এবং দুর্ঘটনার কবল থেকে ট্রেনটিকে রক্ষা করেছে তা রীতিমতো প্রশংসনীয়।
মুরসালিম মালদা জেলার কড়িয়ালী বারিনওয়ার মিশন বিদ্যালয়ের ছাত্র। তার উপস্থিত বুদ্ধির জোরেই বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বেঁচেছেন কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের যাত্রীরা তাদের কোন সন্দেহ নেই। কিভাবে তিনি এই সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ট্রেনটিকে দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা করলেন? তিনি যেভাবে নিজের বুদ্ধি কাজে লাগিয়েছেন তা শুনে রীতিমতো স্তম্ভিত রেল কর্মী থেকে সাধারণ মানুষরা। আপনি ওই কিশোরের বুদ্ধি শুনলে সত্যিই তারিফ না করে থাকতে পারবেন না।
বৃহস্পতিবার দুপুর বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ মুরসালিম ঘটনাস্থল দিয়ে ফিরছিল। হঠাৎ সেই সময় তার চোখে পড়ে রেল লাইনের বিশাল গর্ত হয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতেই লাইনের উপর দিয়েই ছুটে আসছে সুপারফাস্ট ট্রেনটি। লাইনে এমন গর্ত থাকলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে সেই কথা মাথায় রেখে মুরসালিম তার পরনে থাকা লাল টি শার্ট খুলে ট্রেনটির দিকে দৌড়াতে শুরু করে। লাল কাপড় নিয়ে কেউ ছুটে আসছেন এমন দেখে কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসের চালক এমার্জেন্সি ব্রেক করে ট্রেনটি থামিয়ে দেন।
রক্ষা পেল #KanchanjunghaExpress pic.twitter.com/OYI1iQ4Aq3
— BanglaXp Official (@BanglaXpBengali) September 23, 2023
মুরসালিম জানত, লাল কাপড় দেখিয়ে ট্রেন থামানো যায়। আর সেই বুদ্ধিকেই কাজে লাগিয়ে সে এইভাবে দুর্ঘটনার কবল থেকে একটি ট্রেনকে রক্ষা করল। ঘটনার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় ওই কিশোরের ভিডিও ভাইরাল হয়। অন্যদিকে ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর রেল কর্মীরা এবং তাদের তরফ থেকে রীতিমতো স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে, এই ঘটনা চোখের না পড়লে অথবা ট্রেনটিকে না থামালে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতেই পারতো।