Shiksha Ratna Award Return: নিজের মত করে প্রতিবাদ, আরজি করের ঘটনায় শিক্ষারত্ন ফেরাচ্ছেন মাদ্রাসার শিক্ষক

Shyamali Das

Published on:

Advertisements

নিজস্ব প্রতিবেদন : এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত আরজি করের নৃশংস ঘটনায় জড়িত আসল দোষী কারা তা সামনে আসেনি। স্বাভাবিকভাবেই দিন দিন এমন ঘটনার প্রতিবাদে বাড়ছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। এই বিক্ষোভ, প্রতিবাদ আন্দোলনে যে যার মত করে অংশগ্রহণ করছেন। এরই মধ্যে এবার নিজের মত করে প্রতিবাদ জানাতে আরজি করের ঘটনায় শিক্ষারত্ন ফেরানোর (Shiksha Ratna Award Return) সিদ্ধান্ত নিলেন মাদ্রাসার এক প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক।

Advertisements

আরজি করের নৃশংস ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফেরানোর সিদ্ধান্ত অবশ্য এই প্রথম রাজ্যে কোন শিক্ষক নিয়েছেন এমন নয়। এর আগে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি হাইস্কুলের অবসরপ্রাপ্ত প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক অরূপ কুমার দাস শিক্ষক দিবসের দিন শিক্ষারত্ন অ্যাওয়ার্ড ফিরিয়ে দিয়েছেন। যদিও এই প্রথম কোন মাদ্রাসা স্কুলের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শিক্ষারত্ন ফেরাচ্ছেন।

Advertisements

পূর্ব মেদিনীপুরের অরূপ দাসের পর এবার আরজি কর কান্ডের প্রতিবাদে শিক্ষারত্ন ফেরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া হাজী আলম বক্স সিনিয়র মাদ্রাসার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা সরকার। তিনি নিজের মতো করে প্রতিবাদ জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং সেই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই তার শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়া যুক্তিযুক্ত বলে তিনি মনে করেছেন।

Advertisements

আরও পড়ুন : Shiksha Ratna Award Return: আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদ, শিক্ষারত্ন ফিরিয়ে দিলেন এক শিক্ষক

শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই তিনি জেলা শাসক এবং স্কুল শিক্ষা দপ্তরে মেল পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে এই নিয়ে রাজ্যের দ্বিতীয় কোন শিক্ষক শিক্ষারত্ন পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন। এমনিতেও এই ঘটনার প্রতিবাদে গত একমাস ধরে পুজোর ৮৫ হাজার টাকা অনুদান ফেরত থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নিতে দেখা গিয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষদের।

গোলাম মোস্তফা সরকার ২০১৬ সালে শিক্ষারত্ন পুরস্কার পেয়েছিলেন। শিক্ষারত্ন পুরস্কার হিসাবে স্মারকের পাশাপাশি পেয়েছিলেন ২৫ হাজার টাকা। তিনি এবার আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদে স্মারক এবং টাকা দুই-ই ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

Advertisements