নিজস্ব প্রতিবেদন : ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করার নাম করে ঘর থেকে বের হয় বীরভূমের মল্লারপুরের এক তরুণী। তারপর থেকেই সে নিরুদ্দেশ। রাতভর তার কোন খোঁজ না মিললেও শুক্রবার সকালে ওই তরুণীর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় গ্রামের বাইরে একটি জায়গায়। ঘটনার পর থেকেই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যেই এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের মল্লারপুর থানার অন্তর্গত সন্ধিগড়া গ্রামে। মৃত ওই তরুণীর নাম প্রিয়া লেট। তার বয়স ১৮ বছর। এদিন সকালে এই তরুণীর মৃতদেহ ঝুলন্ত অবস্থায় গ্রামের বাসিন্দারা দেখতে পান গ্রামের বাইরে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে। ঘটনার পর মল্লারপুর থানার খবর দেওয়া হলে মল্লারপুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই মৃতদেহ উদ্ধার করে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজে পাঠান ময়নাতদন্তের জন্য।
তবে এই তরুণীর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তরুণীর পরিবারের তরফ থেকে খুনের অভিযোগ তোলা হচ্ছে। মৃত তরুনীর বাবা সৌমেন লেটের অভিযোগ, তাদের মেয়েকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা অভিযোগ করছেন পার্শ্ববর্তী গ্রামের এক যুবক পার্থ লেটের বিরুদ্ধে। তরুণীর বাবার দাবি, ‘শেষবার ওই যুবকের সাথে আমার মেয়েকে দেখা গিয়েছিল। ওই যুবকের মোটর বাইকে চেপে কোথাও যাচ্ছিল সে।’
ওই তরুণীর অভিভাবকদের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, পার্থ লেট নামে ওই যুবকের সাথে তাদের মেয়ের কোন সময় প্রেমঘটিত সম্পর্ক ছিল। কিন্তু পরে সেই সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তারপর ওই তরুণীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়। আগামী রবিবার ছিল সেই বিয়ে। তবে তার আগেই এই ঘটনা ঘটে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
প্রিয়া লেটের বাবা সৌমেন লেট জানিয়েছেন, গতকাল ব্যাঙ্কের পাসবই আপডেট করার নাম করে বাড়ি থেকে বের হয়। তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। সন্ধ্যা এবং রাত হয়ে গেলেও বাড়ি না ফেরায় আমরা খোঁজাখুঁজি শুরু করি। কিন্তু কোথাও তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এরপর সকালবেলায় জানতে পারি ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে আমাদের মেয়ে। আমাদের সন্দেহ পার্থ লেটই ওকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে।
যদিও ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এখনো পর্যন্ত থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানা গিয়েছে। তবে লিখিত অভিযোগ দায়ের না হলেও মৌখিকভাবে পুলিশকে জানানো হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য খুঁজে বের করতে তদন্ত শুরু করেছে।