নিজস্ব প্রতিবেদন : একসাথে ২৫ টি স্কুলে পড়িয়ে বছরে ১ কোটি টাকা আয়ের নজির গড়লেন এক শিক্ষিকা। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই তাজ্জব হয়ে যায় গোটা দেশ। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সরকার। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। যে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে তিনি কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের একজন ফুলটাইম শিক্ষিকা। কিন্তু সম্প্রতি জানা যায় তিনি ওই স্কুল ছাড়াও আরও ২৪ টি স্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে নিযুক্ত।
যে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ তিনি হলেন অনামিকা শুক্লা। উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরের সূত্র অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বর্তমানে রাজ্যের শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি করার কাজ শুরু। আর এই কাজ চালানোর সময় জানা যায় ওই শিক্ষিকা একাধিক স্কুলে শিক্ষকতার সাথে নিযুক্ত। কস্তুরবা গান্ধী বালিকা বিদ্যালয়ের পূর্ণ সময়ের শিক্ষিকা হওয়া ছাড়াও তিনি আমেঠি, আম্বেদনগর, প্রয়াগরাজ, আলীগড় সহ একাধিক জেলার স্কুলেও পড়াতেন।
একাধিক স্কুলে পড়িয়ে তিনি শেষ ১৩ মাসে এক কোটি টাকা উপার্জন করেছেন বলেও জানা গিয়েছে। আর এই ঘটনা সামনে আসতেই উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তর ওই শিক্ষিকাকে একটি নোটিশ পাঠায়। যদিও সেই নোটিশের কোন উত্তর এখনও পর্যন্ত পাওয়া যায়নি বলেও জানা যায়। শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে ওই শিক্ষিকাকে নোটিশ পাঠানোর পাশাপাশি আপাতত তার বেতন আটকে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে খতিয়ে দেখা হচ্ছে ওই শিক্ষিকার একই অ্যাকাউন্ট থেকে সমস্ত স্কুলের বেতন তুলতেন কিনা।
A govt school teacher in Uttar Pradesh was found simultaneously employed at 25 different schools across districts. In over a year, she has managed to draw Rs 1 crore as salaries. https://t.co/u64pdttWaT
— Manish Sisodia (@msisodia) June 5, 2020
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে উত্তরপ্রদেশের প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রী ডঃ সতীশ দ্বিবেদী জানিয়েছেন, “ইতিমধ্যেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে শিক্ষা দপ্তর। যদি অভিযোগ সত্য প্রমাণিত হয় তাহলে উপযুক্ত শাস্তি পাবেন ওই শিক্ষিকা। শিক্ষা ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা আনার জন্যই এই ডিজিটাল ডাটাবেস তৈরি করা হচ্ছে।”