স্বামীর বদলে পুরুষ বন্ধুর সঙ্গে গভীর রাতে হাইওয়েতে! ব্যাগে নেশার ট্যাবলেট, যা ঘটল

নিজস্ব প্রতিবেদন : দশমীর মধ্যরাতে বীরভূমের সিউড়ি থানার অন্তর্গত ১৪ নম্বর জাতীয় সড়কে ঘটে গেল একটি অবাঞ্ছিত ঘটনা। জানা যাচ্ছে, ঐদিন মধ্যরাতে সিউড়ি থানার অন্তর্গত আব্দারপুর এলাকায় জাতীয় সড়কের উপর এক মহিলা ও তার পুরুষ বন্ধুকে রেলিংয়ের ধারে গা এলিয়ে দেখতে পান এক ব্যক্তি। তাদের সামনে পড়েছিল একটি মোটর বাইক। এরপর ওই ব্যক্তি বিবাহিত ওই মহিলা এবং তার পুরুষ বন্ধুকে উদ্ধার করে সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

মৃত ওই মহিলার বাড়ি সিউড়ির ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে। ওই মহিলার শ্বশুর বাড়ি সিউড়ি থানার অন্তর্গত ডাঙ্গালপাড়ায়। তবে প্রিয়া নামের ওই মহিলা তার স্বামী অচিন্ত্য দাসকে নিয়ে নিজের বাপের বাড়িতেই থাকতেন। এমন ঘটনাটি প্রাথমিকভাবে দুর্ঘটনা মনে হলেও মৃত ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা তা মানতে চাইছেন না। এর পিছনে অন্য কোন রহস্য রয়েছে বলে তারা মনে করছেন।

অন্যদিকে এমন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে নানান প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। জানা গিয়েছে, ওই মহিলার সঙ্গে থাকা যুবকটি মহিলার স্কুলের বন্ধু। রাতে পাড়ায় অনুষ্ঠান চলছিল এবং এরই মধ্যে তারা প্ল্যান করেন চা খেতে যাওয়ার। এরপর ওই মহিলা তার স্বামীকে ছেড়ে তার বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে যান। রাতে প্রত্যেকেই মদ্যপান করেছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে।

অচিন্ত্য দাস দাবি করেছেন, ওই রাতে এইভাবে না যাওয়ার জন্য দাঁড়াতে বলেছিলেন তিনি। কিন্তু তা না শুনে বন্ধুর সঙ্গে চা খেতে চলে যান তার স্ত্রী। এরই মধ্যে রাত দেড়টা নাগাদ তার স্ত্রীর বন্ধু ফোন করে জানাই অ্যাক্সিডেন্ট হয়েছে। তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে তিনি পৌঁছে দেখতে পান, ইতিমধ্যেই তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। হাসপাতালে গেলে জানতে পারেন প্রিয়া দাস মারা গিয়েছেন।

অন্যদিকে জানা যাচ্ছে, ওই মহিলার ব্যাগ থেকে পাওয়া গিয়েছে নেশার ট্যাবলেট। এদিনের এমন ঘটনা দুর্ঘটনা বলেই প্রাথমিকভাবে মনে করছে পুলিশ। তবে পরিবারের লোকজন বিষয়টি মানতে নারাজ এবং এর পিছনে অন্য কোন ঘটনা লুকিয়ে রয়েছে বলে দাবি করছেন। এছাড়াও ওই মহিলার সঙ্গে ওই যুবকের কোন সম্পর্ক ছিল এবং তা কেউ জানতো না বলেও দাবি করেছেন তারা।