লাল্টু : বীরভূমের সদাইপুর থানার অন্তর্গত চিনপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের এলেমা গ্রামে মঙ্গলবার সাতসকালে বছর ৩৮-এর এক যুবকের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায় বাড়ির সামনে। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই যুবকের মৃতদেহ দেখতে পেয়ে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সদাইপুর থানার পুলিশ। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই মৃতদেহ তুলতে বাধা দেন এবং পুলিশ কুকুর তদন্তের দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন।
জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম নরেশ বাউরী। তিনি পেশায় একজন অটোচালক। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাদের গ্রামে এই নিয়ে এর আগেও দুই-তিনটি এমন ঘটনা ঘটেছে। যে কারণে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তারা দাবি করতে শুরু করেন, পুলিশ কুকুর সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত করতে হবে। অন্যথায় দেহ তুলতে দেওয়া হবে না।
পরিবারের সদস্য এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই যুবককে খুন করা হয়েছে। তাদের অভিযোগের আঙুল ওই যুবকের স্ত্রীর দিকে। তারা জানিয়েছেন, বাঁধেরশোলের এক মহিলার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা যায়। এই ঘটনা নিয়ে দীর্ঘ ছয় মাস ধরে কেস চলছে। এরই মাঝে মঙ্গলবার ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের স্ত্রীর পরিবারের সদস্যরাই তাকে খুন করেছে বলে অভিযোগ।
ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ানোর পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ ধরে দেহ আটকে রাখার পর অবশেষে পুলিশের তরফ থেকে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হলে ওই যুবকের মৃতদেহ নিয়ে আসা হয় সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য।