লাল্টু : বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন বীরভূমের দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হালসোত গ্রামের বছর ২২-এর ঝন্টু বাগদি নামে এক যুবক। রাতভর তল্লাশি চালালেও ওই যুবকের কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি। অবশেষে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় তালবোনা পুকুর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই যুবকের মৃতদেহ পুকুরের জলে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় ছিল। ঘটনার পরেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।
জানা গিয়েছে, গতকাল রাতে সরস্বতী প্রতিমা বিসর্জনের জন্য ওই যুবকের বাড়ির প্রত্যেক সদস্য বেরিয়েছিলেন। বাড়ির সদস্যরা প্রতিমা নিরঞ্জনের সামনের সারিতে থাকলেও ওই যুবক ছিলেন পিছনের সারিতে। এরপর রাত্রি আটটা নাগাদ প্রতিমা বিসর্জন হয়ে যায়। প্রতিমা বিসর্জনের সাথে সাথে পরিবারের সদস্যরা ফিরে এলে ওই যুবক ফেরেননি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন পরিবারের সদস্য থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতভর খোঁজাখুঁজি হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামের মহিলারা গ্রামের ওই তালবোনা পুকুরে কাজে গেলে দেখতে পান পুকুরের ঘাটের পাথর নেই। পাশাপাশি জলের মধ্যে এক জোড়া চটি ভাসতে দেখা যায়। এরপরই তাদের সন্দেহ হয় এবং গ্রামের যুবকদের খবর দেন। আর তারপর যুবকরা ওই পুকুরে খোঁজাখুঁজি করতে নামলে দেখতে পান জলের মধ্যে পাথর চাপা দেওয়া অবস্থায় রয়েছে ঝন্টুর মৃতদেহ।
[aaroporuntag]
এর পরেই দুবরাজপুর থানার পুলিশকে খবর দেওয়া হয় এবং দুবরাজপুর থানার পুলিশ ওই পুকুর থেকে ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। পরিবার এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, খু’ন করে বুকে পাথর বেঁধে জলের মধ্যে ঝন্টুর দেহ লুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। দুবরাজপুর থানার পুলিশ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু করেছে।