লাল্টু : দুর্গন্ধে টেকা দায়। পাড়ার লোকেরা থাকতে না পেরে খবর দেন স্থানীয় ক্লাবে। ক্লাবের সদস্যরা এসে দেখতে পান চার দিন ধরে নিখোঁজ থাকা এক যুবকের দেহ ঝুলছে বাড়ির ভিতর। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে দুবরাজপুর থানার অন্তর্গত হেতমপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কোল্ডস্টোর পাড়ায়। মঙ্গলবার সকালবেলায় এলাকার বাসিন্দারা দুর্গন্ধ পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করলে এমন ঘটনা বুঝতে পারেন। ঘটনার পর খবর দেওয়া হয় দুবরাজপুর থানার পুলিশকে এবং পুলিশ এসে মৃত ওই যুবকের মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে মৃত ওই যুবকের নাম সঞ্জয় দাস (৩৫)। মৃত যুবকের কাকা পার্থ দাস জানিয়েছেন, গত চারদিন ধরে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। এরইমধ্যে মঙ্গলবার সকালে আশেপাশের লোকজন দুর্গন্ধ পায় এবং তারপর ক্লাবের সদস্যরা এসে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখতে পান ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন সঞ্জয়।
কীভাবে মৃত্যু হয়েছে তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় রক্ত ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল বলে দাবি স্থানীয়দের। এছাড়াও গোটা শরীরে পচন ধরেছে এবং শরীর জুড়ে পোকা দেখা যায়। মৃত ওই যুবকের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য সিউড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে আনা হয়। ময়নাতদন্তের পরে মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
অন্যদিকে মৃত যুবকের কাকা পার্থ দাস জানিয়েছেন, মৃত সঞ্জয় দাসের স্ত্রী ও সন্তান কিছুদিন আগে পর্যন্ত বাড়িতে থাকলেও তারা এখন থাকেন না, তারা এখন বালিজুরিতে থাকেন। এমনকি মৃতের মাও দিন কয়েক আগে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এসবের পরেই প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা, নাকি এর পিছনে রয়েছে অন্য কোনো কারণ!