নিজস্ব প্রতিবেদন : দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বহু মানুষ নিজেদের চিরাচরিত কর্ম হারিয়েছেন অথবা পেটের দায়ে অন্য কিছুকে বেছে নিয়েছেন। আবার কেউ কেউ দীর্ঘ লকডাউন চলাকালীন নতুন কিছু তৈরির চেষ্টায় নিজেদের নিয়োজিত করেছেন। ঠিক তেমনই পঞ্জাবের ধানিরাম সাগ্গু নামে এক যুবক লোহার ব্যবহার না করেই কাঠের সাইকেল বানিয়ে তাক লাগিয়েছেন বিশ্বকে। যদিও লোহা নেই বললে ভুল হবে, তবে তা হাতেগোনা কয়েকটি ক্ষেত্রে।
পঞ্জাবের ছোট শহর জিরাকপুরের ওই যুবক করোনা অতিমারির সময় এপ্রিল মাসে কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েন। এরপর তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আত্মনির্ভর প্রকল্পে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেই কিছু তৈরি করার চেষ্টায় ঝাঁপিয়ে পড়েন। ধানিরাম সাগ্গু পেশায় একজন কাঠমিস্ত্রি হওয়াই কাঠের কাজ করা দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে পরিবেশবান্ধব সাইকেল তৈরি করার দিকে ঝুঁকে পড়েন। তারপরেই যতটা সম্ভব পরিবেশবান্ধব কাঠ দিয়ে তিনি তৈরি করে ফেলেন এই নতুন ধরনের সাইকেল।
তবে এমন ধরনের সাইকেল তৈরি করার ক্ষেত্রে প্রথম চেষ্টাতেই সাফল্য আসেনি তার। প্রথমদিকে দু’দফা ব্যর্থ হন তিনি। পরপর দু’বার ব্যর্থ হওয়ার পরেও মনোবল হারিয়ে হাল ছেড়ে দেননি তিনি। বরং করে দেখানোর জেদ তার মাথায় চেপে বসে। আর তারপর তৃতীয়বারে প্লাইউড, করা এবং ছোটখাটো যন্ত্রপাতি দিয়ে এই নতুন ধরনের সাইকেল তৈরি করে ফেলেন।
সাইকেল এমনিতেই পরিবেশবান্ধব। তারপর আবার উপাদানের ক্ষেত্রেও পরিবেশবান্ধব উপাদান নজর কাড়ে বিশ্বের। সাইকেলের মূল কাঠামো প্লাইউড দিয়ে তৈরি। তবে প্যাডেল, চেন এবং আরও কয়েকটি ক্ষেত্রে লোহার ব্যবহার করা হয়েছে। অন্যদিকে টায়ারে অবশ্যই রয়েছে রাবার। আর এই সাইকেলের খবর ছড়িয়ে পড়ার পর বিভিন্ন জায়গা থেকে অর্ডার আসছে বলেও জানিয়েছেন ধানিরাম সাগ্গু। পাশাপাশি তিনি দাবি করেছেন এই সাইকেলের অর্ডার এসেছে কানাডা থেকেও।
A carpenter in Punjab’s Zirakpur, Dhani Ram Saggu crafted an eco-friendly bicycle from wood to beat lockdown blues. Little did he know that it would go viral, and more importantly, get him orders from as far as Canada.
Read more: https://t.co/taAVvtaXcS pic.twitter.com/ZFoWI7ld4v
— The Better India (@thebetterindia) September 7, 2020
ধানিরাম সাগ্গু জানিয়েছেন, সাইকেলের যাবতীয় কাঠামো কাঠ দিয়ে তৈরি হয় খরচ কিছুটা হলেও বেশি হচ্ছে। যে কারণে তিনি এই সাইকেল বিক্রি করছেন ১৫০০০ টাকায়।