নিজস্ব প্রতিবেদন : গত ১১ তারিখ বাম সংগঠনের তরফ থেকে শিক্ষা, সকলের জন্য খাদ্য এবং শূন্যপদে নিয়োগের দাবীতে নবান্ন অভিযান করা হয়। আর সেই নবান্ন অভিযান ঘিরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। নবান্ন অভিযানকারীদের ঠেকাতে পুলিশের তরফ থেকে বেপরোয়াভাবে লাঠি, টিয়ার গ্যাস এবং জলকামান ব্যবহার করা হয়। আর এই ঘটনায় একাধিক বাম কর্মী সমর্থক আহত হন। যাদের মধ্যে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার মৃত্যু হলো মইদুল ইসলাম মিদ্দার।
মইদুল ইসলাম মিদ্দা বাঁকুড়া কোতুলপুরের বাসিন্দা। তাঁর বয়স ৩১ বছর। নবান্ন অভিযানের পর থেকেই তিনি কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটের লাইফ লাইন নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সিপিআইএম নেতা ডাঃ ফুয়াদ হালিমের তত্ত্বাবধানে তার চিকিৎসা চলছিল। তবে হাজার চেষ্টা করেও তরতাজা এই যুব নেতাকে বাঁচানো সম্ভব হলো না।
[aaroporuntag]
ওই যুবনেতার চিকিৎসার দায়িত্বে থাকা ডাঃ ফুয়াদ হালিম স্পষ্ট জানিয়েছেন, পুলিশের বেপরোয়া মা’রধরের কারণেই মৃত্যু হয়েছে এই বাম যুবনেতার। পাশাপাশি অন্যান্য চিকিৎসকেরাও জানিয়েছেন, মৃতের শরীরে একাধিক জায়গায় আ’ঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় পুলিশে এফআইআর করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর সবকিছু সামনে আসবে বলে দাবি করেছেন চিকিৎসক ফুয়াদ হালিম।