শর্মিষ্ঠা চ্যাটার্জী : বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রায়ই যেখানে সম্পর্কের টানাপোড়েনের গল্প তো সামনে আসেই। তারপর তো আছে দাম্পত্য কলহ, সম্পর্কের বিচ্ছেদ এই সব কিছুকে পরোয়া না করে থাইল্যান্ডের এক যুবক একসাথে আটজন স্ত্রীকে সামলাচ্ছেন। এও কি সম্ভব! তাই ভাবছেন তো কিন্তু এই পৃথিবীতে সব সম্ভব। তাই তো এত বৈচিত্র্যময়। কোন প্রান্তে যে কি ঘটনা ঘটছে তার অনেকাংশই আমাদের অজানা থেকে যায়।
আট বউকে নিয়ে সংসার করা তো আর মুখের কথা নয়। এবার এই বিস্ময় যুবকের পরিচয় জেনে নেওয়া যাক। হ্যাঁ, বিস্ময়ই বটে, একই সময়ে যে ব্যক্তি আটজন স্ত্রীকে নিয়ে সামলাচ্ছেন তাঁকে আর কি বলা যেতেই বা পারে। থাইল্যান্ডের যুবক অং ড্যাম সোরোট তিনি একত্রে আটজন স্ত্রীকে নিয়ে সংসার করছেন তাও কোনো রকম কলহ ঝগড়া ঝাটি ছাড়াই।
নেট মাধ্যমে সোরোটের কাহিনী ব্যাপকভাবে ভাইরাল হয়েছে , বেশ সাড়া ফেলেছে লোকজনের মধ্যে। তবে ওই যুবককে নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন উঁকি দিচ্ছে। সোরোট কি একসাথেই ওই আটজন স্ত্রীকে বিয়ে করে বাড়িতে তুলেছিলেন? নাকি কোনো কন্যাদায়গ্রস্ত পিতা একসাথে সব মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিলেন না সেসব তো আগের ঘটনা। এখন তো এসব কথা ইতিহাস।
তবে আসল কাহিনী কি? আসল কাহিনী জানলেও তাজ্জব হতে হয়। প্রথম স্ত্রী নাং স্প্রাইটের সাথে তাঁর প্রথম পরিচয় এক বন্ধুর বিয়ের সূত্রে। প্রথম সাক্ষাতেই বিবাহ করে ফেলেন আর তারপর দ্বিতীয় স্ত্রী নাং এলকে বাজারে দেখে পছন্দ করে বিয়ে, এইভাবেই তৃতীয় স্ত্রী নাং নেনের সাথে হাসপাতালে আলাপের পর বিবাহ বন্ধনে বাঁধা পড়েন। বাকি পরের স্ত্রীদের সাথে ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার এইসব সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে আলাপ। তারপর বিয়ে। সব শুনে যেনো রূপকথার গল্পের মতো মনে হয়।
পেশাগত দিক দিয়ে সোরোটো একজন ট্যাটুশিল্পী। তাঁর দাবি, তিনি তবে আটজন স্ত্রীকে নিয়ে বেশ সুখে ঘর সংসার করছেন। প্রত্যেক স্ত্রীই তাঁকে খুব আদর যত্ন করেই রাখেন। হবেনাই বা কেনো হাজার হোক একজন স্বামী। যদিও অনেকের দাবি সম্পত্তির লোভে ওই আট যুবতী বিয়ে করেছেন কিন্তু মালিক অর্থাৎ সোরোট কিন্তু নিন্দুকদের এইসব মন্তব্য মানতে নারাজ।