সেলুনে চুল দাড়ি কাটাতে বাধ্যতামূলক আধার, করোনা ঠেকাতে উদ্যোগ তামিলনাড়ু সরকারের

নিজস্ব প্রতিবেদন : দীর্ঘকালীন লকডাউনের অবদান হিসেবে মানুষের চুল দাড়ির কথা প্রথমেই মনে আসে। ঘর বন্দি থাকতে থাকতে মানুষের চুল দাড়ি এতটাই বড় হয়ে গেছে যে যখন লকডাউন ধাপে ধাপে উঠছে তখন মানুষের মাথায় একটাই চিন্তা সেলুনে গিয়ে চুল দাড়ি কাটাতে হবে। এখন ধরুন আপনি সেলুনে গেলেন কিন্তু আধার কার্ড আনেননি বলে আপনাকে ফিরে আসতে হলো! অদ্ভুত মনে হচ্ছে তাই না?

আসলে তামিলনাড়ু সরকার এমনই একটি নিয়ম চালু করেছেন। এই নিয়মে বলা হয়েছে সেলুন থেকে পার্লার সর্বত্রই আধার কার্ড নিয়ে যেতে হবে। আধার কার্ড ছাড়া সেলুন বা পার্লারে প্রবেশ করা যাবে না। সেলুন, স্পা, পার্লারের মালিকদের বলা হয়েছে, কাস্টমারের আধার নম্বর লিখে রাখতে।

আধার নম্বর বাধ্যতামূলক করা ছাড়াও আরও কতকগুলি বিধি-নিষেধ আরোপ করেছেন সেখানকার সরকার। মাস্ক পড়া এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারকে বাধ্যতামূলক বলা হয়েছে। এছাড়া সেলুন কর্মীদের বাধ্যতামূলকভাবে গ্লাভস ব্যবহার করতে হবে। একটি ব্লেড পুনর্ব্যবহার করা যাবে না। একবার ব্যবহার এরপরই তোয়ালেকে স্যানিটাইজ করতে হবে। কোন কর্মীর সর্দি কাশি জ্বর হলে তার কর্ম ক্ষেত্রে আসা যাবেনা। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সেলুন বা পার্লারে একসাথে প্রচুর মানুষ ভিড় করা যাবে না।

আধার কার্ড লিখে রাখার উদ্যোগটি এক অর্থে সদর্থক। এক্ষেত্রে সংক্রমণ ছড়ালে খুব সহজেই হদিশ পাওয়া যাবে। তবে বিনা আধার কার্ডে চুল কাটাতে এসে অনেক কাস্টমারকেই ফিরে যেতে হচ্ছে। আবার অপরদিক থেকে দেখলে আধার কার্ডের নম্বর লিখতে লিখতে সেলুন ও পার্লারের মালিকরাও ক্লান্ত হয়ে পড়ছেন। কিন্তু বৃহৎ অর্থে দেখতে গেলে উদ্যোগটি এক রকম ভাবে সদর্থক। কারণ আধার কার্ডের নম্বর থাকার ফলে খুব সহজেই সরকার জানতে পারবে একদিনে একটি সেলুন অথবা পার্লারে ঠিক কে কে এসেছেন এবং এদের মধ্যে কেউ সংক্রমিত হলেই সেই দিন সেই সেলুন অথবা পার্লারে আসা অন্যান্য ব্যক্তিদেরও খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, যে তামিলনাড়ুর প্রতিটি জেলায় (চেন্নাই বাদে) ২৪ মে থেকে সেলুন খোলার অনুমতি দেওয়া হয়। একমাত্র চেন্নাইতেই সেলুন খোলার অনুমতি পাওয়া যায় ১লা জুন থেকে।